ফলোআপঃজামায়াতের আমির গ্রেফতরকৃতের প্রতিবাদে কাল ডিমলায় অর্ধ দিবস হরতাল

আবু ফাত্তাহ্ কামাল (পাখি),স্টাফ রিপোর্টারঃ সোমবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে ডিমলা উপজেলা শহরস্থ জামায়াত কার্যালয় থেকে গ্রেফতারকৃত নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা জামায়াত আমীর অধ্য আব্দুস সাত্তারকে (৪৪) মঙ্গলবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।  সেখানেস গ্রেফতারের পর  জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা পুলিশের উপড় হামলা চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার আশঙ্কায় রাতেই পুলিশ দ্রুত একটি পিকআপ ভ্যানে ওই জামায়াত নেতাকে  নীলফামারী থানায় নিয়ে এসে নিরাপত্তা সেলে রাখে।

এদিকে উপজেলা আমির গ্রেফতারের প্রতিবাদে বুধবার (৬ মে/২০১৫) ডিমলা উপজেলায় অর্ধ দিকস হরতাল ডেকেছে জামায়াত । ডিমলা উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মওলানা মহিউর রহমান মঙ্গলবার বিকালে হরতালের কর্মসুচীর বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।
অপর দিকে ডিমলা থানার উপ-পরিদর্শক মো. সুফিয়ার রহমান বসুনিয়া জানান, গত বছরের ৫ জানুয়ারী সংসদ নির্বাচনে আগের দিন রাতে গ্রেপ্তারকৃতর উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্য আব্দুস সাত্তারের নেতৃত্বে  ১৫০/১৬০ জন দুস্কৃতিকারী আগ্নেয়াস্ত্র, ককটেল ব্যবহার করে ডিমলা উপজেলার  ১১৯নং খালিশা চাপানী ব্যাপারীটোলা আলীম মাদ্রাসা ভোট কেন্দ্রে  আক্রমণ করে । এসময়  ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং ও সহকারি প্রিজাডিং কর্মকর্তা, পোলিং কর্মর্তাদের গুরুত্বর আহত করে।
এসময়  কেন্ত্রের দায়িত্বরত আইনশ্ঙৃখলা রাকারী বাহিনীর সাথে দুস্কৃতিকারীদের সংঘর্ষের  জাহাঙ্গীর আলম (২৫) নামের এক শিবির কর্মী গুলিবৃদ্ধ হয়ে মারা যায়। জাহাঙ্গীর খালিশা চাপানী ইউনিয়নের খালাশিচাপানী গ্রামের ইছামুদ্দিনের ছেলে এবং কারমাইকেল কলেজে ছাত্র শিবিরের সক্রিয় কর্মী।
এঘটনায় ৫জানুয়ারী রাত ১২টা ১৫ মিনিটে  ১১৯নং খালিশা চাপানী ব্যাপারীটোলা আলীম মাদ্রাসা ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম অজ্ঞাত নামা ১৫০/১৬০  জনের বিরুদ্ধে একটি (মামলা নং-০১) মামলা দায়ের করেন।
ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিন খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেপ্তারকৃত উপজেলা জামায়াত আমীর মওলানা অধ্য আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে ভোটরে আগের দিন রাতে ব্যাপারীটোলা আলীম মাদ্রাসা ভোট কেন্দ্রে সহিংসতায় (মামলা নং- ০১, তারিখ: ০৫.০১.১৪) ও ৫জানুয়ারী ভোট গ্রহণ চলাকালে নিজপাড়া ফাজিল মাদ্রাসার ভোট কেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ ও ব্যালট পেপার ছিনতাই এবং সহিংসতা চালানোর (মামলা নং-১৬, তারিখ: ৬ জানুয়ারী ২০১৪) দুটি মামলা সরাসরি সম্পৃক্ততা ছিল।
যা মামরা দু’টির র্দীঘ তদন্তে পাওয়া গেছে। এই মামলা দু’টির অভিযোগ পত্র চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল আদালতে দাখিল করা হয়েছে। মামলার পর থেকে আসামী পলাতক ছিল। সোমবার রাতে তার অবস্থান জানতে পেরে সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয়।