রংপুরের মমিনপুরে জামায়াত নেতার দৈারাত্ম চরমে! একাধিক মামলার আসামি মনির হোসেন সরকার বিরোধী অপপ্রচারে লিপ্ত

হাজী মারুফ,রংপুর ব্যুরোঃ ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালে ঘেরাও, অবরোধসহ বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকা- পরিচালনা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টার নেতৃত্বদানকারী, একাধিক মামলার আসামি রংপুর সদরের মমিনপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি পল্লী চিকিৎসক মনির হোসেনের দৌরাত্ম চরমে পৌঁছেছে। বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধচারণ করে কুৎসা সৃষ্টিকারী লিফলেট, বিভিন্ন বই-পুস্তক এলাকায় ছড়িয়ে দেয়াসহ নানান অঞ্চলে নাশকতার সাথে জড়িত জামায়াত-শিবির নেতাকর্মিদের নিজের কাছে শেল্টার দিয়ে নতুন নতুন ষড়যন্ত্রের জাল বুনছেন বলে একাধিক সূত্র দাবি করেছে।

অভিযোগ রয়েছে, রংপুর সদর উপজেলার মমিনপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ মমিনপুর লস্করপাড়া গ্রামের মৃত. বাচ্চা মিয়ার পুত্র পল্লী চিকিৎসক মনির হোসেন ছাত্র শিবিরে প্রবেশের মধ্য দিয়ে জামায়াতের মূল রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী তার সাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে প্রবেশ ঘটলেও স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালনকারী এলাকাবাসীর বিপক্ষে সরাসরি অবস্থান নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় মুক্তিযুদ্ধ এবং অসাম্প্রদায়িক মতাদর্শের নিরীহ নাগরিকদের ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নানা কৌশলে নির্যাতনের পথ বেছে নেয়। কথিত পল্লী চিকিৎসক জামায়াত নেতা মনির দেশের প্রগতির বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত অপরাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও নিজের অপরাধ আড়াল করতে জনসমক্ষে পল্লী চিকিৎসকের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে বেড়াচ্ছেন। আর এটি জায়েজ করতে প্রতি বুধবার মমিনপুর হাটে একটি ফার্মেসীতে বসেন। বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে দেশকে অস্থিতিশীল করার যেসব অপরাধমূলক কর্মকান্ড মমিনপুরসহ রংপুরের আশপাশ এলাকায় সংঘটিত হতো তার আর্থিক যোগানদাতা এই ব্যক্তি কৌশল হিসেবে সঙ্গী করেছেন জামায়াতের রুকন সদস্য সুদখোর খ্যাত মিলন মিয়াকে। মিলন একই ইউনিয়নের মন্ডলপাড়ার মৃত. আঃ কাদেরের পুত্র। এরা দু’জন মিলে ৫ জানুয়ারী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরবর্তী সময়ে মমিনপুর মিলেরপাড়, বদরগঞ্জ রোডের বিভিন্ন স্থানে বেড়িকেড সৃষ্টি করে, সড়কে কাঠের গুড়ি ফেলে, আগুন জ্বালিয়ে, যানবাহন ভাংচুর করে জনসাধারণের স্বাভাবিক চলাচল ও জীবনযাত্রা ব্যাহত করে। চিকিৎসক নামধারী জামাত নেতা মনির রংপুর অঞ্চলে নাশকতা, জ্বালাও-পোড়াওসহ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিঘœ ঘটাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মমিনপুর অঞ্চলে আগত শিবির নেতা-কর্মীদের তার নিজ বাড়িসহ বিভিন্ন নিরাপদ স্থানে আশ্রয় দিয়ে ঘাঁটি তৈরীতে মূখ্য ভূমিকা পালন করেন। এ সময় ওই নেতা-কর্মীদের খাওয়া-দাওয়াসহ যাবতীয় ব্যয়ভার বহনে বিভিন্ন মাধ্যম হতে অর্থ সংগ্রহ ও সংরক্ষনের দায়িত্ব পালন করেন।
এ ব্যাপারে মমিনপুর এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষজন, ইউনিয়ন আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুল ইসলাম মিন্টু, সাধারণ সম্পাদক বাহার উদ্দিন, সদর উপজেলা আহবায়ক এমদাদুল হক দুলাল উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এই জামায়াত নেতা মনির হোসেনের বিরুদ্ধে নাশকতামূলক কর্মকা-ের অভিযোগে একাধিক মামলা থাকলেও সে নির্বিঘেœ ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকছে। তারা অবিলম্বে তার গ্রেফতার ও শাস্তি দাবি করেছেন। তা না হলে এলাকায় আরো নতুন করে রাষ্ট্রবিরোধী নৈরাজ্যকর কর্মকান্ড বাড়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে বলে তারা আশংকা প্রকাশ করেছেন।
এদিকে এ ব্যাপারে জানতে রংপুর কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল কাদের জিলানী জানান, আসামী অনেক যাচাই বাচাই না করে এ মুহুর্তে বলা যাচ্ছে না। পরবর্তীতে যাচাই বাচাই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 সাথে গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০-২৩মি. টায় কথা বলার চেষ্টা করা হলে তিনি মুঠোফোন রিসিভ করে কেটে দেন।

পুরোনো সংবাদ

আরও... 8827723529108034480

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item