নাশকতার হোতা ডিমলা জামায়াত আমীর সাত্তার গ্রেফতার : মাদ্রাসায় অভিযান জরুরী

হাজী মারুফ,রংপুর প্রতিনিধিঃনীলফামারীর ডিমলা উপজেলার জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তারকে গত ৪ মে বাদ এশা আরাজী কিন্ডার গার্টেন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামন থেকে আটক করেছে পুলিশ। নির্বাচনের আগে ও পরে তিনি বিভিন্ন নাশকতা কর্মকা-ের নেতৃত্ব দিতেন।
জানা যায়, ৫ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খালিশা চাপানি ব্যাপারি ভোট কেন্দ্রে হামলা চালায় জামায়াতের নেতাকর্মীরা। এ হামলায় আ’লীগ নেতা জাহাঙ্গীর নিহত হন। এ ঘটনায় অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তারকে প্রধান আসামী করা হয়। যার মামলা নং-১। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর গত ৪ মে অভিযান চালিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামী আব্দুস সাত্তারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
অপরদিকে এলাকাবাসি অভিযোগ করে বলেন, দক্ষিণ তীতপাড়ার মৃত ছয়ের উদ্দিনের পুত্র, ও ডিমলা নিজপাড়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হওয়ায় তিনি শিক্ষার্থীদের নাশকতামূলক বিভিন্ন কর্মকান্ডের প্রশিক্ষণ দিতেন। এখন পর্যন্ত এ মাদ্রাসায় অনেক শিবির নেতা রয়েছে। তারা বিভিন্ন সময় একত্রিত হয়ে বের হয়। মাদ্রাসায় দিন ও রাতে অভিযান জরুরী বলে অনেকে মনে করেন।
ডিমলা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস পারভেজ ও উত্তম এবং যুবলীগ নেতা মিন্টু জানান, উপজেলা জামায়াতের আমীর ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে তিনি ডিমলাসহ গোটা জেলায় নাশকতামূলক কর্মকা-ের নেতৃত্ব দিতেন। নির্বাচনের দিন এই জামায়াত নেতার উপস্থিতিতে এবং তার হুকুমেই ভোটকেন্দ্রে হামলা চালিয়ে আ’লীগ নেতা জাহাঙ্গীর হত্যা করা হয়। এজন্য তাকেসহ অন্যান্যদের গ্রেফতারের দাবিতে ছাত্রলীগ, যুবলীগ কয়েকবার মিছিল ও সমাবেশ করেছে। এরপরও উপজেলার জামায়াত আমীর ও নাশকতার মূল হোতা আব্দুস সাত্তার দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিল। তার বিরুদ্ধে অনেক মামলা রয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন।
উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম জানান, তিনি নামেমাত্র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। তিনি মাদ্রাসায় উপস্থিত না থাকলেও ছাত্রদের নিয়ে বিভিন্ন স্থানে নাশকতামূলক কর্মকা-ের বৈঠক করেছিলেন। আর এই নাশকতামূলক কর্মকা-ে তার সাথে আরো অনেক জামায়াত ও শিবির নেতা রয়েছেন।

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item