ডোমারের গোমনাতীতে জিনের বাদশার খপ্পরে ২টি পরিবার সর্বশান্ত

আনিছুর রহমান মানিক,ডোমার(নীলফামারী) প্রতিনিধি>>
নীলফামারী ডোমারে কোটি  টাকা ও সোনা দেয়ার নাম করে জিনের বাদশার খপ্পরে ২টি পরিবার আজ সর্বশান্ত হয়েছে। এনিয়ে এলাকায় চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে,উপজেলার গোমনাতী  ইউনিয়নে দণি আমবাড়ী সুইচ গেইট পাড়া গ্রামে। সরেজমিনে যানাযায়,উক্ত গ্রামের আনছার আলীর স্ত্রী সুফিয়া খাতুন ও হাচানুর রহমানের স্ত্রী শরিফা খাতুনের সাথে দণি আমবাড়ী সরদার পাড়া গ্রামের মৃত লতিফর রহমানের পুত্র ছাদেকুর রহমান ছাদের ও তার স্ত্রী রঞ্জনা বেগমের পরিচয়ের এক পর্যায়ে সুফিয়া ও শরিফার বাড়ীতে আসা যাওয়া করতে সু-সম্পর্ক তৈরী করে।
এরই ধারাবাহিকতায় রঞ্জনার শরিরে জ্বীন ভরকরে বলে তাদের জানায়। এবং তাদের বাড়ীতে একটি ধনী জ্বীন বসবাস করে আসছে। কিছু নিয়ম কানুন মেনে চললে জ্বীনের রাখা সোনা দ্বানা টাকা তাদের দিবে বলে লোভ লালসা দেখায়। বিশ্বাস করাতে তাদের ঘড়ের ভিতরে হাড়ি মাটিতে পুতে রাখতে বলে। রঞ্জনা ও তার স্বামীর ছাদেরের কথা মতে তারা হাড়ির মুখ বন্ধ করে পুতে রাখে ঘড়ের কোনে। ৭দিন পড়ে হাড়ি ভর্তি সোনা আসবে বলে আতব চাউল মোরগ,লুঙ্গী,শাড়ী ও কিছু নগদ অর্থ নিয়ে যায় তারা। ঠিক ৭দিন পড়ে এসে হাড়িটি তুলে দেখে সেখানে ২টি সোনার রিং রয়েছে। এতে করে সুফিয়া ও শরিফার তাদের প্রতি বিশ্বাস জমে উঠে এবং রঞ্জনা বলে হয়তোবা তোমরা কাউকে বলেছো নইলে হাড়ি ভর্তি সোনা দেয়ার কথা ছিলো। যদি তোমরা সোনার কথা কাউকে বলো তাহলে তোদের সন্তান অথবা স্বামীর মৃত্যু হতে পারে। সেই ভয়ে তারা কাউকে না বলে ক্রমানয়ে সুফিয়া ৫০ হাজার শরিফা ৬০ হাজার টাকা মানুষের কাছে ধার দেনা করে  রঞ্জনা ও তার স্বামীর হাতে তুলে দেয়। এবং গত সপ্তাহে টিনের ট্যাংক এনে তালা মেরে চাবিটি হাতিয়ে নেয় এবং হাড়িটি আবারো মাটিতে পুতে ৭দিন পরে এসে তুলবে বলে ১ল ১০ হাজার টাকা নিয়ে উধাও হয়। ১৫ দিন পার হওয়ার পরেও তারা না আসায় তাদের মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসীকে ডেকে হাড়িটি তুলে ও ট্যাংক ভেঙ্গে দেখে তাতে কিছুই নেই। শুধু ট্যাংকে রাধা সাদা কাপড়ে মুড়ানো একটি ইটের টুকরা ও হাড়ির ভিতরে আতর আগরবাতী ও পাথরের টুকরা। এদিকে জিনের বাদশারা ফোন বন্ধ করে আতœগোপন করেছে। অপর দিকে ঘটনাটি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে শত জনতা তা দেখতে আসে এবং পাওনা দারদের চাপে সুফিয়া ও শরিফা এখন বাড়ী ছাড়া। এবিষয়ে রঞ্জনা ও তার স্বামীর সাথে দেখা করতে গেলে তারা বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী জানান,তারা দুই স্বামী স্ত্রী মিলে দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে মানুষকে ধোকা দিয়ে প্রতারনা করে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে গেছে। এর আগেও ডিমলা ও চিলাহাটির অনেক মানুষকে এমনিভাবে সর্বসান্ত করেছে তারা। এ বিষয়ে গোমনাতী ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে টাকা উদ্ধারের মামলা করেছে ভূক্তভূগীরা। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপরে নিকট আশু সমাধানের জোর দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item