কিশোরগঞ্জে ভালো নেই বাঁশের কারিগররা অতি কষ্টে চলছে তাদের জীবন

বিপিএম জয়,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)প্রতিনিধি॥
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজিব ডালিয়াপাড়ার বাঁশের কারিগর ৪০টি পরিবারের জীবন চলে বাঁশের তৈরী ডালি ও দোন বিক্রি করে। এসব বিক্রি করে যা আয় হয় তা দিয়ে তাদের সংসার চলে কোনরকমে। জীবন-জীবিকার তাগিদে অনেক কষ্ট হলেও বাপ দাদার এ পেশাকে কোন রকমে জিয়ে রেখেছেন তারা। সরকারীভাবে পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ শিল্পকে সম্প্রসারিত করা যাবে বলে মত দেন অনেক কারিগর।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পরিবারের প্রত্যেককে ব্যস্ত রয়েছে বাঁশের বিভিন্ন উপকরণ তৈরীর কাজে। এক মুহূর্ত ফুসরত নেই তাদের। কেউ তৈরী করছেন ডালি,কেউ দোন আবার কেউবা মুরগী রাখার খাঁচা।
এসময় কথা হয় কারিগর জাহেদুল ইসলামের সাথে তিনি বলেন, বাঁশের তৈরী এসব উপকরণ দিয়ে দিনে ২’শ থেকে ৩’শ টাকা রোজগার করা যায়। তা দিয়ে ৫ সদস্যের পরিবার পরিচালনা করা খুব কষ্ট হয়। সরকারীভাবে পোষ্ঠপোষকতা পেলে এ শিল্পকে সম্প্রসারিত করে বাইরে রপ্তানি করা যাবে। পঞ্চাশউর্ধ্বো আব্দুস সালাম বলেন, বাজারে বাঁশের দাম বেশি কিন্তু উপকরণের চাহিদা কম। শুধূ বেঁচে থাকার অবলম্বন হিসেবে এ পেশাকে আকড়ে রেখেছি। আশরাফুল ইসলাম বলেন, বর্তমান মানুষ প্লাষ্টিকের তৈরী জিনিসের উপর নির্ভরশীল হয়ে পরেছে। বেশি বাঁশের তৈরী এসব উপকরণের চাহিদা দিন দিন কমে যাচ্ছে। মনারুল, সুকান্ত , মানিক চন্দ্রসহ আরো অনেকে বলেন, এ পেশায় থেকে তারা ভালো নেই।
কিশোরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুর রহমান বাবুল বলেন, বাঁশের তৈরী কারিগরদের পেশাকে গতিশীল রাখতে বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে শ্রিঘই তা বাস্তবায়ন করা হবে। 

পুরোনো সংবাদ

নিবিড়-অবলোকন 4122582842928550553

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item