ডিমলায় ইরি বোরো ক্ষেত শীষ গোড়া পচন রোগে আক্রান্ত হয়ে ব্যপক ক্ষতি

জাহাঙ্গীর আলম রেজা, ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি ঃ নীলফামারী ডিমলায় চলতি ইরি বোরো সেচের ইরি ধানের শীষ পচা রোগে আক্রান্ত হওয়ায় শত শত একর জমির ইরি ধানের শীষ চিটা পড়ায় ইরি চাষী কৃষকেরা সর্বশান্ত হয়ে চরম হতাশায় ভুগছেন। চলতি মৌসুমে আনেক এলাকায় আগাম ইরি বোরো চাষ করায় সেসব এলাকায় ধান কাটা মাড়াই শুরু হলেও ডিমলায় দেরিতে ইরি চাষাবাদ করায় ইরি বোরো ধানের শীষ গাছ থেকে বের হয়ে পাকতে শুরু করেছে। এবার ধানের ফলন ভালো হওয়ায় শুরুতে বোরো চাষীরা আনন্দে আতœহারা হয়ে হাসি মুখ দেখাগেলেও চাষকৃত অধিকাংশ ইরি বোরো েেতর ধানের শীষে গোড়া পচন রোগ ধরে ধানের শীষ সোনালী রং এর পরিবর্তে সাদা হয়ে ভিতরে দানা শূণ্য হয়ে শীষ চিটায় পরিনত হওয়ায় কৃষকের মুখের হাসি ম্লান হয়ে গেছে।
কৃষকরা এখন হতাশায় ভূগছেন। ইরি বোরো ধানের চাষে বড় ধরনের মার খাওায়ায় দুশ্চিন্তায় মাথায় হাত পড়েছে। ইরি বোরো চাষীরা আনেক প্রতিকুলতার মাঝেও যথাসাধ্য চেষ্টাকরে ইরি বোরো ধানের আবাদ ভালো করলেও চাষীদের সেই শ্রম কোন প্রকার সুফল বয়ে আনতে পারেনি। আনেক বোরো চাষী কুষক অন্যের কাছে ধারদেনা করে বোরো চাষের সেচের খরচ রাসায়নিক সার কিটনাশক ঔষধ কেনার টাকা যোগার করতে হয়েছে। বোরো চাষীদের ল্েয ছিলো ভালো ফসল ঘরে তুলতে পারলে বাজারে ভালো দামে বিক্রি করে সকল ধার দেনা পরিশোধ করেও ভালো লাভবান হতে পারবে সে আশা এখন বোরো চাষীদের গুড়ে বালি। কিভাবে ইরি বোরো ধান চাষে  খরচের ধারদেনার টাকা পরিশোধ করবে সে চিন্তায় মহা দুশ্চিন্তায় পড়েছে । উপজেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানাগেছে চলতি অর্থ বছরে ডিমলা উপজেলায় ইরি বোরো চাষের লমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৩ হাজার ৩ হেক্টর জমিতে আর উৎপাদন ধরা হয়েছিল ৫৫ হাজার ২৫ মেট্রিকটন ধান। আবহওয়া প্রতিকুল পরিমিত সেচ প্রদান, পর্যাপ্ত পরিচর্যা ও প্রয়োজনী সার, কিটনাশক ঔষধ প্রয়োগের কারনে এবার ইরি বোরো ধানের গাছ সবল হওয়ায় ফলনও ভালো হওয়ায় উৎপাদন ল্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করছিল কৃষিদপ্তর কিন্তু কৃষিদপ্তর ও বোরো চাষীদের সে আশা আকাংখা ধুলন্টিত করেছে। ইরি বোরো ধানের শীষ বের হওয়ার পরে সাধারণত ধানের গাছ হতে শীষ বের হয়ে সোনালী রং ধরে ধীরে ধীরে নিচের দিকে নেতিয়ে পড়ার কথা কিন্তু ধানের শীষ বের হওয়ার পর সোনালী রং এর পরিবর্তে শীষের গোড়ায় খয়েরী রং এর দাগ পড়ে পচন শুরু হয়ে গোটা শীষ সাদা হয়ে শুকিয়ে গিয়ে দানা শূণ্য হয়ে পড়েছে। বোরো চাষীরা জানায় বিশেষ করে ব্রি-২৮ জাতের ধানের এ রোগে বেশী আক্রান্ত হয়েছে। ডিমলা সদরের দনি তিতপাড়া গ্রামের বোরো চাষী বাদশা প্রামানিক জানান তিনি চলতি মৌসুমে ২০ বিঘা জমিতে ইরি বোরো চাষ করেছেন তার মধ্যে ৭ বিঘা জমির ধানে শীষ গোড়া পচা রোগে আক্রান্ত হয়ে শীষ দানা শূণ্য হয়ে পড়েছে। তিনি আরো জানান ৭ বিঘা জমি থেকে ১মন ধানো তিনি ঘরে তুলতে পারবেন না। খগা খড়িবাড়ী ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের বাচ্চা মিয়া জানান তিনি ৭ বিঘা জমিতে সেচ দিয়ে ইরি বোরো চাষ করেছেন তার মধ্যে ৩বিঘা জমিতে শীষ গোড়া পচা রোগে আক্রান্ত হয়ে তে নষ্ট হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার হুমায়ুন কবির জানান, এটি একটি ছত্রাকনাশক রোগ, রোগটি বীজ বাহিত বা বাতাস বাহিত হতে পারে। তিনি ইতিমধ্যে রোগপ্রতিরোধের জন্য মনিটরিং  সেল তৈরী করে কৃষকদের পরামর্শ দেয়ার জন্য উপ-কৃষি সহকারীদের নিদের্শ প্রদান করেছেন।

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item