১২ এপ্রিল সৈয়দপুরের স্থানীয় শহীদ দিবস।যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত।


আবু ফাত্তাহ্ কামাল (পাখি),স্টাফ রিপোর্টারঃ১২ এপ্রিল রবিবার সৈয়দপুরের স্থানীয় শহীদ দিবস। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এই দিনে পাক হানাদার বাহিনী সৈয়দপুরের অর্ধশতাধিত মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। তৎকালীন প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য ডা. জিকরুল হক, ডা. বদিউজ্জামান, ডা. সামসুল হক, তুলশিরাম আগরওয়ালা, বাবু রামেশ্বরলাল আগরওয়ালা, যমুনা প্রসাদ কেডিয়া, রেলওয়ে কর্মকর্তা
ডা.ইয়াকুব আলী, আয়েজ উদ্দিন, ডা.মোবারক আলীসহ নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের সৈয়দপুর সেনানিবাসে হাত পা বেঁধে রাখা হয়েছিল। এরপর ১২ এপ্রিল তাদের চোখমুখ বেঁধে রংপুর সেনানিবাসের নিসবেতগঞ্জে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। পাশাপাশি এই দিনে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার পদস্থ কর্মচারীদের বাড়ি থেকে ডেকে এনে  পাকসেনা ও তাদের  অবাঙ্গালী দোসররা হত্যা করে। নৃশংস হত্যাযজ্ঞের দিনটি সেসময় থেকে  প্রতিবছর ১২ এপ্রিল স্থানীয় শহীদ দিবস হিসাবে পালিত হয়ে আসছে।
দিবসটি পালনে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও প্রজম্ম’৭১ যৌথভাবে নানা কর্মসূচি পালন করে। রবিবার (১২ এপ্রিল) সকালে স্মৃতি অম্লান চত্বরে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন, সকল প্রতিষ্ঠানে কালো পতাকা উত্তোলন, বুকে কালো ব্যাজ ধারণ, শোকর‌্যালি, প্রতিকী অনশন, স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। স্মৃতি অম্লান চত্বরে আয়োজিত প্রতীক অনশন কর্মসূচি শেষে সেখানে স্মৃতিচারণমূলক সভায় বক্তব্য রাখেন শহীদ পরিবারের সন্তন আব্দুর রশিদ, মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান, মুজিবুল হক, রাবেয়া আলিম, সৈয়দপুরের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার একরামুল হক, আলহাজ্ব বখতিয়ার কবির প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন শহীদ পরিবারের সন্তান মঞ্জুর হোসেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আরেক শহীদ পরিবারের সন্তান মহসিনুল হক মহসিন। # ছবি ক্যাপসন,নীলফামারীঃসৈয়দপুরে স্থানীয় শহীদ দিবস উপলক্ষ্যে রবিবার শহরে শোক র‌্যালী বের করা হয়। ছবিঃ নীলফামারী ১২/০৪/২০১৫ ইং

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item