চিলাহাটি মার্চেন্টস্ সরঃ প্রাথঃ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের ঃ নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির তদন্ত

আনিছুর রহমান মানিক
ডোমার(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ

নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার চিলাহাটি মার্চেন্টস্ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ভোগডাবুরী ও কেতকীবাড়ী প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির শিক্ষকদের একাংশ ইতোপূর্বে সাজানো আিভযোগ সম্বলিত অভিযোগ পত্র উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর দাখিল করেন। উক্ত অভিযোগ পত্রে তারা প্রধান শিক্ষিকার অপসারণ দাবী করেন। এমতাবস্থায় প্রধান শিক্ষিকা শাহ্নাজ পারভীন তার বিরুদ্ধে অন্যায় অভিযোগের প্রতিকার চেয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি, ডোমার শাখার সভাপতি বরাবর আবেদন করেন।

প্রধান শিক্ষিকার আবেদনের প্রেক্ষিতে জানা যায়, চিলাহাটি গার্লস্ স্কুল এন্ড কলেজ কর্তৃক তাদের ভোগ-দখলে থাকা সরকারি খাস জমিতে টিফিন পিরিয়ডে উভয় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে একটি ক্যান্টিন নির্মাণের কাজ শুরু হলে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি তাদের কাছে ২০ ফুট জায়গা দাবী করলে সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেন। প্রধান শিক্ষিকা গার্লস্ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষর স্ত্রী হওয়ায় তারা তাকে গুটি বানিয়ে অধ্যক্ষকে ঘায়েল করার চেষ্টা করছেন বল অভিযোগ উঠেছে।
গত মঙ্গলবার নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি বিষয়টি নিয়ে তদন্তে আসলে কমিটির কাছে উক্ত প্রতিষ্ঠানের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেনÑবর্তমান প্রধান শিক্ষিকা অত্যন্ত সৎ, দক্ষ এবং নিষ্ঠাবান। তিনি অত্র প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর লেখা-পড়া এবং অবকাঠামোগত যথেষ্ট উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। শিক্ষক সমিতির কয়েকজন শিক্ষক ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ জানান,বর্তমান প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তাদের কোন অভিযোগ নেই। প্রাথমিক বিদ্যালযের বিশিষ্ট অভিভাবক ও গার্লস্ কলেজের গভর্ণিং বডির সদস্য জনাব রকিব হোসেন রন বলেনÑপ্রধান শিক্ষক এরশাদুল হক অত্র প্রতিষ্ঠানে আসার জন্য কৌশলে শিক্ষকদের মাঠে নামিয়েছেন। তারা আমাদের কাছে তাদের সমিতির জন্য ২০ ফুট জায়গা দাবী করেন কিন্তু আমরা তা দেইনি। প্রধান শিক্ষিকা যেহেতু অধ্যক্ষর স্ত্রী সেহেতু তারা প্রধান শিক্ষিকাকে বেকায়দায় ফেলে স্বার্থ হাছিলের চেষ্টা করছেন। উলেখ্য যে, এরশাদুল হক একটি কোচিং সেন্টারের সাথে জড়িত থাকায় তার সুবিধার্থে তিনি অত্র প্রতিষ্ঠানের আসার পাঁয়তারা করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কিছু প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ব্যাপারে তদন্তকারীর নিকট বিভিন্ন অনিয়মের কথা তুলে ধরেন। তারা বলেন,প্রথমে অভিযোগকারী শিক্ষকবৃন্দ উভয় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে ক্যান্টিন নির্মানের উদ্যোগকে স্বাগত জানান কিন্তু পরবর্তীতে অজ্ঞাত কারণে তারা প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের পূর্বক নোংরা খেলায় মেতে উঠেছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক সুষ্ঠু তদন্ত হলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে বলে অভিজ্ঞ মহলের ব্যাক্তিরা ধারণা করেন। উক্ত বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু সমাধানের জোর দাবী জানান।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 2845600944938427496

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item