ডোমারে গ্রামীন ঐতিহ্যবাহী কুচুনির চাউল আজ বিলুপ্তির পথে।

আনিছুর রহমান মানিক 
ডোমার(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ-নীলফামারীর ডোমারে গ্রাম অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী  কুচুনির চাউল অটো মিলের যাতাকলে আজ এই শিল্প প্রায় বিলুপ্তির পথে। কালের আবর্তে তথা অত্যাধুনিক বিজ্ঞানের যুগে যান্ত্রিক অটো রাইচ মিলের যাতাকলে পড়ে গ্রাম অঞ্চলের মান্ধাত্বার আমলের সনাতন পদ্ধতির ঐতিহ্যবাহী কুচুনির চাউল আজ শিল্প হারিয়ে যেতে বসেছে। ফলে এ শিল্পের সাথে জড়িত ডোমার উপজেলার  সহস্রাধিক পরিবারের বিধোবা নারীরা এই
পেশা ছেড়ে দিয়ে বর্তমানে মানুষের বাড়ীতে অথবা মাঠে ঘাটে  অন্য পেশায় যেতে বাধ্য হচ্ছে। নীলফামারী জেলার ডোমার,ডিমলা,উপজেলার ঐতিহ্যবাহী এই শিল্প কালের বিবর্তনে বিজ্ঞান প্রযুক্তির উৎকর্যতা সাধনের ফলে ব্যাবহারিক জীবনে এখন আর কুচুনির চাউল শিল্পের বিশেষ একটা কদর নেই। ধানের চড়া দাম পুজির অভাবে অনেক কুচুনি পরিবার ইচ্ছে থাকা সত্তেও পূর্ব-পুরুষের আদি পেশা ধরে  রাখতে পারছে না। এ ব্যাপারে ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ী ও বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের নিমোজখানা ও আজিজার মিয়া হাটের,হাতে কুটানো চাউল কুচুনি লী বালা ও সরু বালা সাথে কথা বলে যানাযায়, বিশেষ করে তাদের স্বামীর মৃত্যুর পরে যখন অভাবের সংসারে ছেলে সন্তানেরা মাকে খাওয়াতে পড়াতে পারেনা ঠিক তখনী বিভিন্ন এনজিও  থেকে সল্প কিছু ঋণনিয়ে হাটবাজার হতে ২০/৩০ কেজি ধান কিনে সিদ্ধকরে রোদে শুকিয়ে নিজ হাতে ছামে কুটে গ্রামের বাজার গুলেতে বিক্রি করে কোনোরকম সংসার চালায়। আজিজার মিয়া হাটের শুকুবালা ও সুস্তিবালা জানান,সন্তান ছোট থাকা অবস্থায় স্বামীর মৃত্যু হয় অভাবের সংসারে সন্তান মানুষ করতে এই পেশা বেছে নিয়েছি। কিন্তু মিলের চাউল খেয়ে মানুষ অভ্যস্ত হয়েছে।আগের মতো নিজ হাতে কুটানো চাউলের কদর নেই বললেই চলে। শুধু মাত্র এলাকার পুরাতন কিছু গ্রাহক আমাদের এই চাউল কিনে মিলের চালের চেয়ে আমাদের চাল অনেক সুস্বাদু ও খেতে মিষ্টি বলে নানা প্রতিকুলতার মধ্য দিয়ে এ পেশা ধরে রেখেছি। প্রতি শনিবার,বৃহস্পতিবার ও  সোমবার নিমোজখানা ও আজিজার মিয়ার হাটে চাউল বিক্রিকরে কোনো রকম সংসার চলছে। রোদ বা বৃষ্টি হলে ২,১দিন বসে থাকতে হয়। সময়ের সাথে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে এই শিল্প। ডোমারের প্রত্যন্ত এলাকায় খোজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমান আধুনিকতার ছোবলে কুচুনির চাউল হারিয়ে গেছে গ্রামীন ঐতিহ্য থেকে। এ শিল্পে সরকারী সহায়তা না পাওয়ায়,বে-সরকারী উন্নয়ন সংস্থাগুলো এগিয়ে না আসা পরবর্তি প্রজন্মের কাছে কুচুনির চাউল শিল্প গল্প হয়ে থাকবে। বাস্তবে চোখে দেখার সুযোগ পাবে না। তাই এ শিল্পকে বাচাঁতে সরকার এবং বিভিন্ন বে-সরকারী সংস্থাকে এগিয়ে আসতে আহব্বান জানিয়েছেন বিভিন্ন মহল।

পুরোনো সংবাদ

নিবিড়-অবলোকন 894804587074478792

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item