সৈয়দপুরে সপ্রাবি-এর শিক্ষকদের জমজমাট কোচিং বাণিজ্য

মো. জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি-
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এর হুশিয়ারী ও মন্ত্রণালয়ের জারি করা নীতিমালা উপেক্ষা করে সৈয়দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন জমজমাটভাবে। তারা প্রতি মাসে সরকারের নেয়া অর্থে পকেট ভারি করলেও নিজ স্কুলের শিক্ষার্থীদের ভালভাবে পড়া বুঝিয়ে দেন না। এর ফলে ওইসব শিক্ষার্থীদের পিএসসি পরীক্ষায় রেজাল্ট ভালও হয় না। অথচ ওইসব শিক্ষকরা বাইরে পিএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫, গোল্ড ও ভাল স্কুলে ভর্তির সুযোগ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোচিং সেন্টার খুলে বসেছেন।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, সৈয়দপুর শহরে সম্প্রতি শতাধিক স্পটে কোচিং সেন্টার খুলে বসেছেন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
অনেক শিক্ষক আবার নিজ বাড়িতেও খুলে বসেছেন কোচিং সেন্টার। অভিভাবকরা বলছেন, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোন পড়াশোনাই হয় না। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের শুধু বইয়ের অধ্যায় দাগিয়ে দেন। কিছু বুঝান না। সন্তানদের ভাল রেজাল্ট এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা ভেবেই বাধ্য হয়ে কোচিং সেন্টারে দিচ্ছেন তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের অভিযোগ, সৈয়দপুর উপজেলার বাগডোকরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিল্টন হোসেন, সৈয়দপুর সরকারি কারিগরী স্কুল এন্ড কলেজের পার্শ্বে শেকড় কোচিং সেন্টার নামকরণ দিয়ে জমজমাট কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। পিএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫, গোল্ডসহ সরকারি কারিগরী স্কুল ও কলেজে শতভাগ ভর্তির সুযোগ প্রাপ্তির প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলেছেন তিনি। অথচ তার নিজ স্কুলের পিএসসি রেজাল্ট একেবারেই ভাল নয়। মিল্টন নামের ওই শিক্ষকের সাথে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আহসান হাবিবের সাথে সুসম্পর্ক থাকায় তিনি শহরেই ৩টি কোচিং সেন্টার খুলে প্রতি মাসে লক্ষ্যাধিক টাকারও বেশি হাতিয়ে নিচ্ছেন। এছাড়া রহমতুল্লাহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজা খাতুন তার নিজ বাড়িতে, বাঙ্গালীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিঠু, উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন নেয়ামতপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক চিত্তরঞ্জন সহ প্রায় শতাধিক কোচিং সেন্টার খোলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কথা হয় সৈয়দপুর সরকারি কারিগরী স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ ড. আমির আলী আজাদের সাথে। তিনি বলেন, শিক্ষকদের কোচিং বন্ধের নীতিমালা ২০১২ ও ২০১৩ অনুযায়ী শিক্ষকরা ক্যাম্পাসের বাইরে কোন প্রকার প্রাইভেট বা কোচিং সেন্টার খুলতে পারবেন না। নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিজ প্রতিষ্ঠানে কোচিং করাতে চাইলে বেশি ফি-ও নেওয়া চলবে না। এসব নীতিমালা অমান্যকারীদের চাকরি চলে যাওয়াসহ অর্থ অর্থদন্ডেরও বিধান রয়েছে। কিন্তু উল্লেখিত নীতিমালার তোয়াক্কাই করছেন না শিক্ষকরা। তিনি বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আহসান হাবিবের সাথে কোচিং সেন্টার খুলে বসা শিক্ষকদের আঁতাত রয়েছে বলেই তারা শিক্ষা মন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের তোয়াক্কা করছেন না। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি করেন তিনি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার আহসান হাবিব জানান, ২০১২-১৩ তে কোচিং বন্ধের নীতিমালা হয়েছি কিনা তা তার দেখার বিষয় নয়। কোচিং বন্ধের ব্যাপারে তার কাছে কোন নির্দেশনা আসেনি বলে জানান তিনি।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 7247893045287194872

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item