ডিমলায় সরিষার বাম্পার ফলন-দাম ভাল পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি

ডিমলা(নীলফামারী)থেকে জাহাঙ্গীর আলম রেজা, ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি ঃ নীলফামারী ডিমলায় সরিষা চাষে দ্বিগুন লাভ, ফুল ও পাতা ঝড়ে জৈব সার তৈরী করে জমির উর্বর শক্তি বৃদ্ধি পাওযায় নীলফামারী জেলার অনেক কৃষক সরিষা চাষে ঝুকে পড়ছে। এবারের মৌসুমে সরিষা চাষ করে গত কয়েক বছরের  তুলনায় অনেক বেশি লাভবান হবে বলে জানিয়েছে সরিষা চাষীরা।
স্বরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সদরের রামডাঙ্গা গ্রামের অহিদুলের পুত্র সফিকুল ইসলাম তার আবাদী ২ একর জমিতে সরিষা লাগিয়ে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছেন। তিনি জানান, গত ৫ বছর যাবত নিজ উদ্দোগে পরিত্যক্ত জমিকে আবাদ যোগ্য সরিষা চাষ করে প্রতি মৌসুমে প্রায় ৫০থেকে ৭০ হাজার টাকা পয্যন্ত অতিরিক্ত লাভ করে আসছেন।
তবে চলতি মৌসুমে সরিষার ফলন বেশি হওয়ায় এবং বর্তমান বাজার দর তুলনামুলক বেশি  হওয়ায় এবার বেশী লাভের আশা করছেন তিনি। সরিষা চাষিরা জানান, স্থানীয় কৃষি দপ্তরের পরামর্শ ও সরকারী সহায়তা পেলে সরিষা চাষে আরো ব্যাপক সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হতো। তাহলে আমরা যেমন সরিষা আবাদ করে আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বি হয়েছি অন্যরাও হতো। দেশের বিভিন্ন এলাকা হতে সরিষা কিনতে আসা ক্রেতারা বলেন,উত্তর অঞ্চলের জমি সরিষা চাষের জন্য খুবই উপযোগী। অন্যান্য এলাকার চেয়ে উত্তরাঞ্চলের সরিষার দ্বানা পরিপুরক হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা ও দাম দুটোই বেশী। সে কারনে এখান থেকে সরিষা কিনে নিয়ে দেশের বিভিন্ন হট বাজারে বিক্রী করে তারাও প্রচুর লাভবান হচ্ছেন। সরিষা চাষে সাফল্য অর্জন করতে কুমার পাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম ,পুর্বছাতনাই গ্রামের মজিবর রহমান,খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের আবু মোতালেব বলেন, ভাল বীজ সনাক্ত করে সঠিক সময় বীজ রোপন,সঠিক ভাবে রোগ নির্নয়,রোগ নিরাময়ের জন্য সঠিক মাত্রায় কীট নাশক সহ ফুলফল বাড়ানোর জন্য ভিটামিন ও বিভিন্ন প্রকার সার প্রয়োগ করতে হবে। তাহলেই আগাম ফল ফলিয়ে তা বাজার জাত করতে পারলেই উচ্চ মুল্যে বিক্রী করা সম্ভব হলে অধিক লাভবান হওয়া যায়। সরদার হাটের তবিবুল ইসলাম বলেন, ১ বিঘা সরিষা চাষ করতে খরচ হয়, ১ থেকে দেড় হাজার টাকা। ভাল ফলন হলে বিঘায় ৫ হতে ৬ মন সরিষা পাওয়া যায়। প্রতিমণ সরিষার বাজার মূল্য ১৫“শ থেকে ২ হাজার টাকা। অন্যান্য ফসল চাষ করে প্রতি বিঘায় যে পরিমান লাভ হয় তার চেয়ে ঐ পরিমান জমিতে সরিষা চাষ করে দ্বি-গুন বেশী লাভ পাওয়া যায়। এছাড়া সরিষা চাষ করলে ফুল ও পাতা ঝড়ে পড়ে জৈব সার তৈরী হয়ে জমির উর্বর শক্তি বৃদ্ধি করে। সে কারনে এ জমিতে পরবতীতে রাসায়নিক সারের প্রয়োজন হয়না ও ধানের ফলনও ভাল হয়। সরিষা চাষে একদিকে যেমন বেশী লাভ হয় অন্য দিকে জমির  উর্বর শক্তি বাড়ায়,সেদিক বিবেচনা করে সাধারন কৃষকরাও সরিষা চাষের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের আফতাব হোসেন জানান,জেলায় এবার সরিষা চাষের লম্ত্রাা নির্ধারন করা হয়েছে  ৪শত ৫০ হেক্টর জমি। আর অর্জিত হয়েছে  ৯ শত ৫০ হেঃ জমি। যা গত বারের তুলনায় অনেক বেশী। চলতি মৌসুমে ডিমলায় লমাত্রা ধরা হয়েছে ২শত ৩০ হেঃ জমি,উৎপাদন হবে২শত ৫৩ মেঃ টন। এর মধ্যে বাড়ি-১৪ জাতের ১৭৫ হেক্টর,বাড়ি-১৫ জাতের ১৬০ হেক্টর,এইচএস-৭৭ জাতের ২৮০ হেক্টর ও টরি-৭ জাতের ৩৩৫ হেক্টর। যা গত বারের তুলনায় অনেক বেশি জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জনান, এ এলাকার জমি বেলে দোয়াশ পানি ধারনের মতা কম,পানি ধারন মতার জন্য জমিতে জৈব সারের প্রয়োজন। সরিষা চাষ করলে খাবার তেলের চাহিদা পূরন সহ পাতা ও ফুল পড়ে জৈব সার তৈরী করে একদিকে জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পাবে অন্যদিকে জমিতে পানি ধারন মতাও বাড়বে। আর তাতে করে এই এলাকার কৃষকরা হবে অধীক লাভবান।        

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 5468181300699616629

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item