ভেজাল ঔষধ প্রয়োগ সৈয়দপুরে ৫০ একর জমির ফসল নষ্ট, অর্ধ কোটি টাকারক্ষতি

মো. জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি
সৈয়দপুরে ভেজাল ঔষধ প্রয়োগের ফলে ৩৫ কৃষকের প্রায় ৫০ একর জমির ফসল নষ্ট হওয়ার অভিযোগ মিলেছে। সম্প্রতি এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলা কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নে। এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা ঔষধ বিক্রেতার বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থাসহ ক্ষতিপূরণ আদায়ে উপজেলা কৃষি অফিসসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের কৃষকরা তাদের জমিতে হাইব্রিড, ইরাটন, ২৮, ২৯ ও জাগরণ ধানের চাষাবাদ করেন। ধান রোপনের ২০ দিন পর জমির ঘাস মাড়তে ওই এলাকায় সিপাইগঞ্জ বাজারের জাহাঙ্গীরের দোকানে যায় ঔষধ কেনার জন্য। এসময় দোকানী তাদের ঘাস মারার জন্য অরনেট-২০ (এস এ এম এগ্রো কেমিক্যাল, ঢাকা) ওষধটি কৃষকদের দেয়। কৃষকরা ওষধ পেয়ে তাদের জমিতে প্রয়োগ করার ২ দিন পরই প্রায় ৫০ একর জমিতে রোপণকৃত সব রোপাই নষ্ট হয়ে যায়।

কৃষক আমিনুল ইসলাম, সেকেন্দার মেম্বার ও শ্রী রমানাথ রায় জানান, ওষুধ কেনার পূর্বে তারা দোকানীকে বলেন, ভালো ওষুধ দেওয়ার জন্য। কিন্তু দোকানী জাহাঙ্গীর যে ওষুধটি তার জমিতে প্রয়োগ করেনি সেই ওষধই কৃষকদের দিয়েছেন। যার ফলে ওই এলাকার ৫০ একর জমির সব ফসলই পুড়ে গেছে। কৃষি কর্মকর্তারা যদি নিয়মিত তাদের দেখাশোনা করতেন তাহলে এতটা ক্ষতি হতেনা বলে তারা মন্তব্য করেন।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর উপজেলার কৃষকলীগের সভাপতি পিকে সাইদুল ইসলাম জানান, ভেজাল ঔষধ যাতে করে কৃষকদের কাছে বিক্রি করা না হয় এজন্য কীটনাশক বিক্রেতাদের সতর্ক করার জন্য বিএস আবু তালেব আহসান হাবিব ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়রা মন্ডলকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারা অনুরোধের তোয়াক্কা না করার ফলেই কৃষকদের ৫০ একর জমির ফসল নষ্ট হয়ে যায়। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দফতরের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবী জানান তিনি।
সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়রা মন্ডল জানান, ভেজাল ঔষধ প্রয়োগের দরুণ কৃষকদের ফসল নষ্ট হওয়া অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। কিন্তু সিপাইগঞ্জ বাজার চেনেন না বলে সেখানে যেতেও পারছেন না বলে জানান তিনি।

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item