সৈয়দপুর রেলের ঝুকিপূর্ণ ভবনে ২ হাজার পরিবারের বসবাস

মোঃ জহুরুল ইসলাম খোকন সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি-
সৈয়দপুর রেল বিভাগের প্রায় ২০টি দ্বিতল ভবনসহ প্রায় ২ হাজার কোয়াটার ঝুকিপূর্ণ হলেও সেখানে বসাবাস করছেন প্রায় ২ হাজারেরও বেশি পরিবার। দেড়শ বছর আগের নির্মিত এসব ভবন ও কোয়াটার ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর পরিত্যাক্ত ও ঝুকিপূর্ণ ঘোষণা করা হলেও সেখানে মৃত্যুর ঝুকি নিয়ে বসবাস করছেন তারা।
যে কোন সময় রেলের ওই সব ভবন ও কোয়াটার ধসে পড়ে হাজারও মানুষের প্রাণহানীর আশংকা থাকলেও কোন প্রকার কার্যকর পদক্ষেপ নেই রেল কর্তৃপক্ষের।
এব্যাপারে গতকাল রবিবার রেল কারখানার শ্রমিকলীগ নেতা মোকছেদুল মোমিন জানান দেড়শ বছরের এসব ভবন ও কোয়াটার বসবাসের অযোগ্য হয়ে দাড়ালে সেগুলি ভেঙ্গে ফেলার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। রেল কর্তৃপক্ষ সেগুলি সরেজমিনে তদন্তের পর বসবাসের অযোগ্য বলে ভেঙ্গে ফেলার মতামত ব্যক্ত করেন। সেই থেকে দীর্ঘদিন ওইসব ঝুকিপূর্ণ ভবন ও কোয়াটার পরে থাকে খালি অবস্থায়। কিন্তু ঘিঞ্জি এ শহরে বসবাসের জায়গা না থাকায় অনেক রেল কর্মচারীসহ সাধারণ মানুষ বাধ্য হয়ে বসবাস শুরু সেখানে। অনেকে আবার রেলের এসব ভবন থেকে মাদকের ব্যবসাও চালিয়ে আসছেন। এসব ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছিল কিন্তু এখনও কোন সৎ উত্তর মেলেনি।
রেলের একটি সূত্র জানায়, ১৮৭০ সালে আসাম বেঙ্গল রেলের এ বিশাল কারখানা স্থাপন করা হয় সৈয়দপুরে। ওই সময় রেল কারখানায় কর্মরত, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের বসবাসের জন্য নির্মাণ করা হয় প্রায় সারে ৩ হাজার কোয়াটারসহ ভবন। দীর্ঘ ১শ বছর মেয়াদী এসব ভবন ও কোয়াটারের মেয়াদকাল থাকার পর ১৯৭১ সাল থেকে ওই সব ভবন ও কোয়াটার ঝুকিপূর্ণ হতে শুরু করেন। দেশ স্বাধীনের পর সববাসের জায়গা না থাকায় ঝুকিপূর্ণ হলেও বাধ্য হয়ে মানুষজন সেখানে বসবাস করছেন বলে জানাযায়।
১৯৮০ সালের পর ভবন ও কোয়াটার গুলি ধসে পড়ার আশংকা দেখা দিলে রেল কর্তৃপক্ষ ওই সব ভবন ও কোয়াটার ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ জানায় বসবাসকারীদের। কিন্তু কে শুনে কার কথা। রেল কর্তৃপক্ষের অনুরোধকে তোয়াক্কা না করে তারা নিজের ইচ্ছায় বসবাস করে আসছেন। অন্য আর একটি সূত্র জানায় শুধু রেলের ভবন বা কোয়াটারই নয় সৈয়দপুর শহরে এমন অনেক বিল্ডিং রয়েছে যেগুলি দেশ স্বাধীনের পরই বসবাসের অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু লোকজন সেগুলি ধসে পড়ে মৃত্যুর ভয় না করে বসবাস করে আসছেন। অতিস্বত্তর এসব ভবন ও কোয়াটার থেকে সরিয়ে না নিলে যে কোন সময় হাজারও মানুষের প্রাণহানী ঘটতে পারে বলে ওই সূত্রটি জানায়।
এব্যাপারে কথা হয় সৈয়দপুর রেল কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক নুর আহমেদ হোসেনের সাথে তিনি বলেন রেলের শতাধিক ভবন ও কোয়াটার ঝুকিপূর্ণ রয়েছে। কিন্ত উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা না মিললে কিছুই করার নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি। 

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 2679819978679928335

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item