ডোমারের ঐতিহ্যবাহি দুটি হাটবাজার ইজারায় অনিয়ম সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে প্রায় ১৯ লাখ টাকা

আবু ফাত্তাহ্ কামাল (পাখি),স্টাফ রিপোর্টার॥  নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ঐতিহ্যবাহী দুটি হাট বাজার ইজারা প্রদানে অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।  অভিযোগ মতে দুটি হাট বাজারের সর্বোচ্চ দরদাতার দরপত্র পরিকল্পিতভাবে বাতিল করে নি¤œ দরদাতাকে হাট ইজারা দেয়ার সকল প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে।সুত্র মতে  ওই দুই হাটবাজারে ইজারায় সর্বোচ্চ দরদাতাগন হাট ইজারা না পাওয়ায় সরকার কে রাজস্ব হারাতে হচ্ছে ১৮ লাখ ৭০ হাজার ২০১ টাকা । এদিকে হাটের সর্বোচ্চ দরদাতা দুইজন ইজারা না পাওয়ায়  তাদের দরপত্র পূণঃমুল্যায়নের দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করেছেন।এরা হলেন, আমবাড়ি হাটের সর্বোচ্চ দরদাতা  বাবলু ও বোড়াগাড়ি হাটের সর্বোচ্চ দরদাতা আলমগীর বাদশা।
১৪২২ বাংলা সনের জন্য  ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ী ও আমবাড়ি হাটের জন্য ইজারা প্রদানে দরপত্র আহবান করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী দরপত্র দরপত্রদাতারা ১৮ ফেব্রুয়ারী দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে দরপত্র জমা প্রদান করেন।
সেদিন বিকাল সাড়ে তিনটায় দরপত্র খোলা হয়। এতে বোড়াগাড়ী হাটের জন্য আলমগীর বাদশা ৩৩ লাখ ৫১ হাজার ১০১ টাকায় সর্বোচ্চ দরদাতা হন। আর ১৫ লাখ ৭৫ হাজার ৫০১ টাকায় দ্বিতীয় দরদাতায় আসেন সাইদার রহমান।
অপর দিকে আমবাড়ি হাটের জন্য ২১ লাখ ৩০ হাজার ১০১ টায় সর্বোচ্চ দরদাতা হন বাবলু। দ্বিতীয় ২০ লাখ ৩৫ হাজার ৫০০ টাকার দরদাতা হন ওসমান আলী।
 কিন্তু হাট ইজারা কমিটির আহবায়ক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিউর রহমান সেদিন দরপত্র যাচাই বাছাই না করে তা পরবর্তিতে ঘোষনার কথা বলেন। এরপর ৩ মার্চ ওই হাট দুটির প্রাথমিক ভাবে ইজারাদার হিসাবে ঘোষনা করা হয় দ্বিতীয় স্থানে থাকা দুইজন দরদাতাকে। ঘটনাটি প্রথমে গোপনে রাখা হলেও তা ফাঁস হয়ে পড়লে এলাকায় তোলপাগ সৃষ্টি হয়।
আমবাড়ি হাটের  সর্বোচ্চ দরদাতা মুক্তিযোদ্ধা কছির উদ্দিনের পুত্র বাবলু অভিযোগ করে বলেন আমার পিতা ছিলেন ৭১ এর স্বাধীনতা সংগ্রামের ৬ নম্বর সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধা। আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সদস্য।  সেখানে একটি চক্র আমাকে রাজাকার আল-বদর আখ্যা দিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতা বাতিল করে দেয়। সেখানে আমাকে বাতিল করে দিয়ে দ্বিতীয় দরদাতাকে হাট দেয়া হলো। এতে সরকার আমবাড়ি হাটে ৯৪ হাজার ৬০০ টাকার রাজস্ব হারালো। তিনি আরো বলেন গত বছরে হাটটি  আব্দুল হামিদ ১৯ লাখ ৭০ হাজার টাকায় ইজারা নিয়েছিল। তার কাছে এখন সরকার হাটের ইজারা বাবদ ৭ লাখ টাকা পাবে। সে এবার হাটের ইজারায় অংশ না নিয়ে তার বড় ভাই ওসমান আলীর নামে  দ্বিতীয় স্থানে থেকে ইজারা পেলো। আমি এর সুষ্ঠ তদন্ত চাই।
অপর দিকে বোড়াগাড়ী হাটের সর্বোচ্চ দরদাতা আলমগীর বাদশা অভিযোগ করে বলেন আমি হাট ইজারায় ৩৩ লাখ ৫১ হাজার ১০১ টাকার দরপত্র দাখিল করেছিলাম। আমাকে বিএনপির লোক আখ্যা দিয়ে আমার দরপত্র বাতিল করে সেখানে দ্বিতীয় দরদাতা ডোমারের পাঙ্গামটকপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড  আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইদার রহমান কে ১৫ লাখ ৭৫ হাজার ৫০১ টাকায় বোড়াগাড়ি হাট ইজারা দেওয়া হয়েছে। এতে করে এই হাটে ইজারা প্রদানে  সরকার রাজস্ব হারাবে ১৭ লাখ ৭৫ হাজার ৬০০ টাকা। তিনিও বিষয়টি সুষ্ঠ তদন্ত দাবি করেছেন।
 ডোমার  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিউর রহমান বলেন, সর্বোচ্চ দরদাতারা ইজারায় যোগ্য হারিয়েছে। এ কারনে তাদের দরপত্র বাতিল করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক জাকীর হোসেন বলেন বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে। বিষয়টি এখন চুড়ান্ত করা হয়নি।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 3068687112640601680

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item