চা চাষের সূচনা হলো নীলফামারীতে

প্রভাষক,আবু ফাত্তাহ্ কামাল (পাখি),স্টাফ রিপোর্টার-॥ নীলফামারী জেলায় চা চাষের সূচনা ঘটালেন নীলসাগর গ্রুপের অঙ্গ সংগঠন অনুভব ফাউন্ডেশন। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা সদরের গোড়গ্রাম ইউনিয়নের ধোবাডাঙাগা গ্রামে আনুষ্ঠানিকভাবে চারা রোপনের মাধ্যমে এর সূচনা ঘটান নীলসাগর গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আহসাব হাবিব লেলিন।
নীলগর গ্রুপের চেয়ারম্যান জানান, নীলফামারীর পাশ্ববর্তী পঞ্চগড় জেলায় বানিজ্যিকভাবে চায়ের বাগান গড়ে ওঠেছে। ওই বাগান ঘিরে ব্যাপক কর্মসংস্থানের মাধ্যমে জেলার আর্থসামাজিক উন্নয়ন ঘটেছে। সেখানকার মাটির তুলনায় নীলফামারীর মাটিও চা চাষের উপোযোগী। কিন্তু উদ্যোগের অভাবে এ জেলায় চা চাষ হচ্ছে না। জেলার মানুষকে উদ্যোগী করে ব্যাপক কর্মসংস্থানের মাধ্যমে জেলার আর্থ সামাজিক অবস্থা পরিবর্তনের লক্ষ্যে নীলসাগর গ্রুপ এমন চা টাষের শুভ সূচনা ঘটিয়েছে।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ৫০ বিঘা জমিতে চা চাষের জন্য চারা রোপন করা হচ্ছে। এটিকে পর্যায়ক্রমে আরও ছড়িয়ে দেয়া হবে। জেলার ছোট বড় কোন কৃষক ক্ষুদ্র আকারে চাষের চাষ করতে কারিগড়ি সহয়তা করা হবে। আর দরিদ্ররা যদি সমবায় সমিতি করে জমি লীজের মাধ্যমে চায়ের চাষ করচে চায় সে ক্ষেত্রে কারিগরি সহায়তার পাশাপাশি আর্থিক সহযোগীতায় অনুভব ফাউন্ডেশন ঋণ প্রদান করবে।
নীলফামারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সামসুজ্জামান বলেন, নীলফামারীর জমি চা চাষের জন্য উপোযোগী। পার্শ্ববর্তী পঞ্চগড়ের ন্যায় এখানেও চাষের বাগান করে অর্থনৈতিক উন্নয়নের বিপ্লব ঘটানো সম্ভব।
নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক আবতাব হোসেন বলেন, চা চাষের জন্য উচু এবং সুনিস্কাসিত জমির প্রয়োজন। সেদিক থেকে নীলফামারীর মাটি উপোযোগী। এখানকার জমি সমতল হলেও বর্ষায় পানি জমে থাকে না। তারা এখানে বন্যার কোন প্রভাব পড়েনো।  জৈবসার প্রয়োগে মাটির সামান্য গুণ পরিবর্তন করে এখানে ব্যাপক চায়ের আবকাদ করা সম্ভব। নীলসাগর গ্রুপের এমন উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য সার্বিক সহযোগীর আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item