তিস্তাপাড়ে কৃষকদের বিক্ষোভ ও সমাবেশ সেচের অভাবে বোরো ক্ষেত শুকিয়ে কাঠ

প্রভাষক,আবু ফাত্তাহ্ কামাল (পাখি),স্টাফ রিপোর্টারঃ  তিস্তা নদীতে পানির  প্রবাহ না থাকায় তিস্তা সেচ কমান্ড এলাকার মাটির তলদেশেও পানির স্তর নিচে নামায় জমিতে সেচ দিতে পারছেনা কৃষক।  বুধবার দুপুরে তিস্তা সেচ কমান্ড এলাকার শতশত  কৃষক  বিক্ষোভ করেছে। তারা তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। তিস্তা নদীর ন্যায্য হিস্যা আদায়ে এবং ভারতের এক তরফাভাবে গজলডোবা ব্যারাজের মাধ্যমে তিস্তার পানি প্রত্যাহার করার প্রতিবাদে এবং সেচের দাবিতে তারা এই বিক্ষোভ ও সমাবেশ করতে রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছে।
কৃষকদের বিক্ষোভ ও সমাবেশে তিস্তা সেচ প্রকল্পের কৃষক সমিতির সভাপতি আমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন কৃষক মোশারেফ হোসেন মিন্টু, সাহিদুল ইসলাম শেফা, আশাদুজ্জামান,  নুরল হক, ও আতোয়ার রহমান প্রমুখ।
কৃষকরা বলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারী থেকে বাংলাদেশের ঢাকায় তিন দিনের সফর শেষে ফিরে গেছেন। ভারতে ফিরে যাওয়ার সময় মমতা তার উপর আস্থা ও ভরসা রাখার কথা বলে যান।  তার আগমন ও ফিরে যাওয়া পর তিস্তা নদীতে বেশ পানির প্রবাহ পাওয়া যাচ্ছিল। ফলে মাটির তলদেশে পানির স্তর ছিল ভালই। এতে করে তিস্তা সেচ কমান্ড এলাকার ক্যানেলে পানি পাওয়া গেছে। কিন্তু হঠাৎ করে গত ১৫ দিন হতে নদীর পানি কমতে থাকে। যা বর্তমানে পানি প্রবাহ একদম নেই। এতে দিন দিন সেচ কার্যক্রম কমতে কমতে শুন্যের কোঠায় নেমে আসে। ফলে তিস্তা সেচ প্রকল্পের সকল ক্যানেল শুকিয়ে গেছে। মাটির নিচেও পানির স্তর নিচে চলে গেছে। এতে বোরো ক্ষেত গুলো সেচের অভাবে মরে যাওয়া উপক্রম হয়েছে।
এদিকে বুধবার  ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা ব্যারাজে নদীর পানি প্রবাহ কত ছিল তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন ডালিয়ার তিস্তা ব্যারাজের সংশ্লিষ্টরা। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্তা বললেন নদীতে পানি নেই বলেইতো সেচ চলছেনা। আর মাটির তলদেশেও পানির স্তর নিচে নেমে গেছে।সেচ নির্ভর বোরো আবাদে পানির অভাবে কৃষকরা পড়েছে চরম বিপাকে। তিনি বলেন শুধু এসবে নয়, নদীর পানি সংকটের প্রভাব পড়েছে মাছ ধরা জেলে পরিবার। হুমকীতে পড়েছে জীব বৈচিত্র্য ও নদীর পরিবেশগত ভারসাম্যতা।
তিস্তা অববাহিকার মানুষজন মন্তব্য করে বলছেন স্মরনকালে ৩২ বছরে সব রেকর্ডভঙ্গ করে পানি শুন্যতায় পড়েছে তিস্তা নদী। ফলে সেচ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।তিস্তা অববাহিকার  সাথে একিভুত  রংপুর-দিনাজপুর আট জেলায় পানির স্তর মারাতœকভাবে নিচে নেমে গেছে। ডোবা, নালা, জলাশয়গুলো শুকিয়ে গেছে। টিউবওয়েল, বিদ্যুতচালিত মোটর ও ডিজেলচালিত শ্যালো মেশিনেও পর্যাপ্ত পানি উঠছে না।
# ছবি ক্যাপসন, নীলফামারীঃ সেচের অভাবে তিস্তা সেচ কমান্ড এলাকার বোরো ক্ষেত শুকিয়ে কাঠ হওয়ায় বুধবার দুপুরে নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোডে কৃষকরা সমবেত হয়ে বিক্ষোভ করে

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 5343521828408397039

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item