সৈয়দপুরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নামে কোটি টাকা বাণিজ্যের অভিযোগ

মোঃ জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি ঃ
সৈয়দপুর রেল সম্পত্তিতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনাগুলো উচ্ছেদের নামে কোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। গত ১৮ ও ১৯ মার্চ ২দিন রেলের বিভাগীয় স্ট্যাট অফিসার মোস্তাক আহমেদের নেতৃত্বে প্রায় সাড়ে ৩শ দোকান পাট উচ্ছেদের পর গতকাল উচ্ছেদ হওয়া ব্যবসায়ীরা এসব অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সালেহ মোহাম্মদ মুসা জঙ্গী বরাবরে একটি স্মারক লিপিও প্রদান করা হয়েছে বলে জানা যায়।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, সৈয়দপুর শহরের সিংহভাগ ভূ-সম্পত্তিই হল বাংলাদেশ রেলওয়ের। ১৮১৭ সালে আসাম বেঙ্গল রেলওয়ের বিশাল এ রেল কারখানা স্থাপনের পর থেকেই একে একে প্রায় সাড়ে ৬শ একর ভূ-সম্পত্তি বেদখল হয়ে যায়। দখলকারীদের মধ্যে অনেকেই রেল বিভাগ পাকশী অথবা রাজশাহী থেকে বরাদ্দ নিয়ে দোকানপাট নির্মাণ করে ব্যবসা শুরু করেন। অনেকে আবার রেল বিভাগের কাছে কোন প্রকার অনুমতি না নিয়েই রেল সম্পত্তিতে নির্মাণ করেন দোকানপাট, ইমারত ও ঘরবাড়ী। যারা রেল বিভাগের কাছে অনুমতি না নিয়েই অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছেন শুধু তাদের বিরুদ্ধেই উচ্ছেদ অভিযান চালানোর কথা। কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষ করেছে সম্পূর্ণ উল্টো কাজ। অবৈধ দখলকারীদের উচ্ছেদ না করে লিজ নেয়া ব্যবসায়ী সহ গরীব অসহায় ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করেছেন তারা।
সৈয়দপুর রেল বিভাগের এ্যাডভোকেট রাফিউল ইসলাম খাজা জানান, সৈয়দপুর রেল সম্পত্তিতে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণকারী নেজাম উদ্দিন, আসলাম পারভেজ, মনসুর টিন ব্যবসায়ী সহ ১৪৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা সহ উচ্ছেদের নোটিশ করা হয়। ওই মামলা ও নোটিশ মোতাবেক ১৮ ও ১৯ মার্চ সেগুলো গুড়িয়ে দেয়ার কথা। সেইসাথে রেল কারখানার সংলগ্ন রেলওয়ে ষ্টেশন সংলগ্ন সকল স্থাপনাও গুড়িয়ে দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু রেলের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা মামলা ও অভিযুক্ত ব্যক্তিদের অবৈধ ইমরাত ও মার্কেট গুড়িয়ে না দিয়ে অসহায় ব্যবসায়ীদের প্রতিষ্ঠান সহ লিজ নেয়া তার ঔষধের দোকানটিও ভেঙ্গে দিয়েছেন। ১৭ ও ১৮ মার্চ রাতে কোটি টাকার বাণিজ্যের কারনেই এমনটা হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এ ব্যাপারে রেলের বিভাগীয় স্ট্যাট অফিসার মোস্তাক আহমেদ জানান, স্থানীয় রেল কর্মকর্তারা যেসব অবৈধ স্থাপনা দেখিয়েছেন শুধু তাদেরই অবৈধ স্থাপনাগুলি গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। যারা অর্থ বাণিজ্যের কথা বলছেন তারাই অবৈধ দখলদার। অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে দেয়ার কারনেই তারা অর্থ বাণিজ্যের মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করছেন বলে তিনি মন্তব্য করেন।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 2961875104749132813

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item