ডিমলায় তিস্তায় জেগে ওঠা দূর্গম চরে মিষ্টি কুমড়া চাষে ব্যাপক সাফল্য

জাহাঙ্গীর আলম রেজা, ডিমলা (নীলফামারী) ঃ ডিমলার তিস্তা নদীর চরে মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে। অন্যান্য রবি শষ্য শাক সব্জির পাশাপশি মিষ্টি কুমড়া চাষাবাদ করা হয়েছে। তিস্তা নদীর বুকচিরে জেগে ওঠা বালুচরে গেলে নয়ন জুরিয়ে যায় চার দিকে শুধু বালুর বদলে সবুজ ফসলের সমাহার। এক সময় স্রোতিণী তিস্তা নদীর বুকে পানির ঢেউ খেলছিলো এখন তার সমাধি ঘটেছে। জেগে ওঠা ধু-ধু বালুর চরে অল্প মাত্রার রোদ্র থাকলেও বালুর  তাপে অতি
প্রখরও তাপমাত্রা আকার ধারণ করে মনে হয় এযেন মরুময়প্রান্তর। কালের আবর্তনে ধীরে ধীরে সে পরিবেশ বদলে গিয়ে নতুন এক উর্বর সমতল ভূমির ন্যয় পরিনত হয়েছে। চাষাবাদের েেত্র দিন দিন নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারে অনুপযুগি বালু চরেই এখন ফসল ফলানোর েেত্র উর্বর সমতল ভূমির ন্যয় রূপান্তরিত হয়েছে। আর এসব অঞ্চলে প্রযুক্তি ব্যবহারের েেত্র কৃষকদের উদ্ভুদ্দ ও প্রশিন প্রদান করে আসছেন স্থানীয় কৃষি দপ্তর বিভিন্ন এনজিও ও জনকল্যানে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান গুলো। নীলফামারী জেলার ডিমলা খালিশা চাপানী ইউনিয়নের তিস্তা নদী বিধৌত দুর্গম চর পূর্ব বাইশ পুকুর গিয়ে দেখা গেছে তিস্তা নদীর জেগে ওঠা বালুর চরে গম, ভুট্টা, বাদাম, পেয়াজ, মরিচ ও মিষ্টি আলুর পাশাপাশি ব্যপক হারে মিষ্টি কুমড়ার চাষাবাদ করা হয়েছে। গত সোমবার দূর্গম পথ পেরিয়ে বাইশ পুকুর চর অঞ্চলে গেলে সেখানে বসবাসকারী চরবাসী কৃষকগণ জানান আমরা আগের মত অভাবী নেই। উপজেলা কৃষি বিভাগ, বিভিন্ন এনজিও ও জনকল্যানে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রশিন ও পরার্মশ গ্রহণ করে নতুন প্রযুুক্তি ব্যবহার কাজে লাগিয়ে তিস্তার জেগে ওঠা বালু চরে ব্যপক হারে রবি শষ্য চাষাবাদ করে আনেকাংশে সাবলম্বী হয়েছি। অভাব নামের অভিশপ্ত রোগটি চিরতরে বিদায় নিয়েছে। তাদের আর কোন অভাব নেই। কথা হয় ঐ চরের বাসিন্দা আব্দুল ছাত্তার (৬৫) এর সাথে তিনি জানান, আমি তিস্তা নদীর বুকে জেগে ওঠা বালু চরে মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছি। পর্যাপ্ত পরিমান কুমড়া েেতর পরিচর্যা ও পরিমিত জৈবসার ব্যবহার করেছি। এপর্যন্ত বৃষ্টি না হওয়ায় গাছের গোড়ায় পানি সেচের ব্যবস্থা করেছি। সবমিলিয়ে মিষ্টি কুমড়ার গাছ ডালপালা বৃদ্ধি পেয়ে প্রতিটি ডগায় মিষ্টি কুমড়ার কটক ধরেছে। আশা করছি আবহওয়ার অনুকুলে ও শিলা বৃষ্টি না হলে কুমড়া বিক্রি করে আনেক লাভ করতে পারবো। একই গ্রামের কুমড়া চাষী শেরিনা বেগম (৩০) জানায় আমি তিস্তা নদীর চরে জেগে ওঠা বালুতে মিষ্টি কুমড়া আবাদ করেছি গাছে প্রচুর পরিমান ধরেছে। আশা করছি বাজারে কুমড়া বিক্রি করে আনেক টাকা পাবো। ঐ গ্রামের সামসুল হকও (৪৫) জানান জেগে ওঠা বালুর চরে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করে তার কুমড়া েেত প্রতিটি জোড়া ডোগায় কুমড়ার ধরেছে। অল্প দিনের মধ্যে বাজারে বিক্রি করতে পারবেন। তিনি আরো জানান বাজারে কুমড়ার দাম কয়েক বছরের তুলনায় বেশী প্রতিটি মিষ্টি কুমড়া আকার অনুপাতে ২০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হবে। এমৌসুমে মিষ্টি কুমড়া বাম্পার ফলন ও বাজারে ভালো দাম থাকায় কুমড়া চাষীরা আনেক খুশি।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 3415241105639139721

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item