সৈয়দপুর রেলওয়ে ৫’শ এডডকর ভূ-সম্পত্তি পাক হানাদার বাহিনী বংশধরদের দখলে

মোঃ জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি-
সৈয়দপুর রেল বিভাগের সাড়ে ৮’শ একর ভূ-সম্পতির মধ্যে ৫’শ একর ভূ-সম্পত্তি হানাদার বাহিনীর বংশধররা অবৈধ ভাবে দখল করে মার্কেট, ঘরবাড়ি ও ইমরাত নির্মান কাজ অব্যাহত রাখলেও তা উদ্ধারে অপারগতা  প্রকাশ করেছেন রেল কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক নুর আহমেদ হোসেন।
গত ১ মাস ধরে হানাদার বাহিনীর বংশধররা রেলের জমিতে অবৈধ ভাবে মার্কেট, ঘরবাড়ি ও ইমরাত নির্মাণ কাজ অব্যাহত নিয়ে কথা বলতে গেলে তিনি ঐ অপারগতার কথা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন গত ২ বৎসর হয় সৈয়দপুর রেল কারখানায় বিভাগীয় তত্ত্ববধায়কের দায়িত্ব নিয়ে যোগদান করেন। ইচ্ছা ছিল সৈয়দপুরকে বিভাগীয় শহরে উন্নীত করার। পাশাপাশি রেল সম্পত্তি ও কোয়াটার থেকে যাতে করে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব পায় সে চেষ্টায় অব্যাহত থাকবে। কিন্তু সৈয়দপুরের মানুষ সরল প্রকৃতির দেখে পাকহানাদার বাহিনী বংশধরসহ কতিপয় দালাল প্রকৃতির লোকজন সকল চিন্তাভাবনাতে লবণ ছিটিয়ে দিয়েছে।
শহরের বেশকয়েকটি সূত্রের অভিযোগ বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে ৩০ লাখ মা ও বোনের ইজ্জত ও জীবনের বিনিময় ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমান এর নেতৃত্ব ও মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের কঠোর যুদ্ধের বিনিময়ে দেশ হয় স্বাধীন। ঐ সময় যারা হানাদার বাহিনীদের মদদ দিয়েছিল যাতে করে দেশ স্বাধীন না হয় এবং মা-বোনদের ইজ্জত লুষ্ঠন করেছিল, তাদের বংশদররাই আজও পাকহানাদার বাহিনী বংশধরদের মদদ দিয়ে চলেছে। এর ফরে পাকহানাদার বাহিনী বংশধররা সৈয়দপুরে মাথা চাড়া দিয়ে দাড়িয়েছে। হাতের মুঠায় নিয়েছে সারা সৈয়দপুর। ৭১ এর রাজাকার পরিবারের সদস্যদের যৎ সামান্য ঘুষ দিয়ে একে একে তারা সৈয়দপুর রেলের প্রায় ৫’শ একরেরও বেশি ভূ-সম্পত্তি ও ২ হাজার রেল কোয়াটার দখলে নিয়েছে। দখল করা ভূ-সম্পত্তিতে প্রকাশ্য দিবালোকে মার্কেট, ইমরাত ও ঘরবাড়ি নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখলেও কোন রাজনৈতিক নেতা বা রেলওয়ে কর্মকর্তারা কোন পদক্ষেপই নিচ্ছেন না। অথচ যে বাঙালির দেশ বাংলাদেশ, সে বাঙালিরা রেলের সামান্য জমি দখল করে সেখানে দোকানপাট বা ঘরবাড়ি নির্মাণ করার চেষ্টা করলেই চলে মামলা ঝামলাসহ উচ্ছেদ কার্যক্রম।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক বেশ কটি সূত্র জানায় সৈয়দপুর রেলওয়েতে আইনি জটিলতা ও উচ্ছেদ প্রক্রিয়া চালালে রাজনৈতিক নেতাদের ভোট নষ্ট হওয়ার ভয়ে ইচ্ছা থাকার সত্ত্বেও কোন পদক্ষেই নিচ্ছেন না রেল কর্মকর্তারা। সূত্রটি বলছেন সৈয়দপুর পাকহানাদার বাহিনীর বংশধরদের মাঝে প্রচন্ড একত্ত্বতা রয়েছে। যে কোন কর্মকান্ডে তারা ২৪ ঘন্টার মধ্যে একত্রিত হয়ে যায় এবং যাদের দ্বারা তাদের স্বার্থ রয়েছে। সবাই মিলে সেই নেতাদেরই ভোট দেয় তারা। একারণে নেতারা তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতেও ভয় পায়। অবৈধ ভাবে জমি দখল করে মার্কেট, ঘরবাড়ি ও ইমরাত নির্মাণ করে হানাদার বাহিনীর সদস্যরা প্রায় সকলে হয়েছেন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ।
এব্যাপারে সৈয়দপুর রাজনৈতিক দলের সকল নেতাদের কাছে কথা বলতে গেলে তারা কোন মতামতই দেননি। তবে সৈয়দপুর রেল কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক নুর আহমেদ হোসেন জানান রেল সম্পত্তির অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা রেল মন্ত্রির নির্দেশ ছাড়া তিনি ব্যবস্থা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 4997832712884838819

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item