ডোমার ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে ছিটমহলে চলছে ভূমিদস্যুতা; ছিটমহল শান্তি কমিটি নিরব

 ছবি ঃ ডোমার ঃ ডোমার ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে
 ছিটমহলে চলছে  বৃক্ষ নিধন ও ভূমিদস্যুতা ।
প্রভাষক,আবু ফাত্তাহ্ কামাল (পাখি) স্টাফ রির্পোটার : সন্ত্রাসী কার্যকলাপের ভয়ে ছিট মহলকে অনেকেই এক চোখে দেখেন। কেউ কেউ ছিটমহলে প্রবেশের পূর্বে ছিটবাসীদের মধ্যে আতœীয়তার সূত্র খোঁজেন যেন কোন বিপদে ছিটবাসীরা এগিয়ে আসেন। কিন্তু বাহিরের আগন্তুকের কোন য়তি ছিটমহলে না হলেও এখানে হরদম চলছে ভূমিদস্যুতা, বিচারের নামে হচ্ছে অবিচার। জালদলিল তৈরি করে জোর যার মুলুক তার অবস্থা প্রায়। আবার তারা বাংলাদেশী দাবি করে।
কিন্তু ভারতীয় চোরাই স্ট্যাম্পে জমি কেনাবেচা করছে অনায়াসে। অহরহ  এ সব ঘটনায় এলাকায় আতংক বিরাজ করছে ।
জানা গেছে, ডোমার উপজেলার চিলাহাটির পাশের ছিটমহলগুলোয় এমনই ঘটনা হরদম ঘটছে । দেবীগঞ্জ উপজেলাধীন ৬টি ছিটমহলের ৩টি ছিটমহল চিলাহাটি ডোমার প্রধান সড়কের পাশাপাশি। এগুলো হল দহলা খাগড়াবাড়ী, কোটভাজনী ও বালাপাড়া খাগড়াবাড়ী ছিটমহল। বালাপাড়া খাগড়াবাড়ী ছিটবাসিন্দা আব্দুল জলিল অভিযোগ করে বলেন, গত সোমবার জমি পাওনা দাবিকে কেন্দ্র করে ডোমার উপজেলাধীন কেতকীবাড়ী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বর্তমান ওয়ার্ড সদস্য মোশাররফ হোসেন ঢোল মেম্বারের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল সাফুলগং-এর জমি অযাচিতভাবে দখল করতে এসে বাঁশ-গাছ কেটে নিয়ে যায়। একই এলাকার বাসিন্দা সোমারি অভিযোগ করে বলেন, ওরা ছুড়ি-বল্লম লাঠি নিয়ে মোহড়া দিয়ে এসে আব্দুল আজিজদের বাঁশ, গাছ অবাধে কেটে নিয়ে যায়। কেউ বাঁধা দিতে সাহস পায় নি। একই অভিযোগ করে আফসার রহমান বলেন, সেদিন সাফুল,আজিজ বা সাইদুল বাড়িতে থাকলে হয়তো ওদের হাতে মরতে হতো।
সরেজমিনে গিয়ে কাটা বাঁশ ও গাছের গোঁড়াগুলো দেখতে পাওয়া যায়। এসময় প্রত্যদর্শী সাফুলের স্ত্রী নুরজাহান বেগম বলেন, ঢোল মেম্বারের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী এসে আমাদেরকে জিম্মি করে বাঁশ-গাছ কেটে নিয়ে যায়। পুকুরের মাছও তুলে নিয়ে যেত কিন্তু প্রতিবেশীদের হস্তেেপ পারে নি। শেষে উপান্তর না দেখে চিলাহাটি কোম্পানী সদর-৭ বিজিবি ক্যাম্পে গিয়ে আশ্রয় নিতে গেলে সমাজ সেবক মহব্বত হোসেন বাবুর মিয়ার আশ্বাসে বাড়ী ফিরে আসি। উপস্থিত সাফুল বলেন, সন্ত্রাসীরা ছিটকমিটির নিকট আমাদের গাইবান্ধাপাড়া গ্রামবাসীর নামে অবৈধ জমিতে বসবাসের অভিযোগ করে। এতে বিচার শালিসের মাধ্যমে ছিটমহল শান্তি কমিটি আনছারুল, সেরাকুল মোস্তাকিন, রেজাউল গং-দেরকে একতরফা রায় প্রদানের ফলে এ ঘটনা ঘটে। এতে ছিট কমিটির চেয়ারম্যান সপিকুল ইসলাম জানান,বিষয়টি বিচারাধীন রয়েছে ।

উল্লেখ্য, ছিটবাসিন্দারা এই অরাজক পরিস্থিতির জন্য বাংলাদেশের সাথে একীভুত হওয়ার জন্য নানা চেষ্টাচরিত করে আসছে। তারা বলছে, দুই দেশের সরকার প্রধানগণ আন্তরিক হলেই ছিট বিনিময় সম্ভব।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 2423624429404554971

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item