কেমন চলছে পাঙ্গা মটুকপুর ইউনিয়ন পরিষদের সেবা কার্যক্রম

আনিছুর রহমান মানিক ডোমার(নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ-নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার পাঙ্গা মটুকপুর ইউনিয়ন পরিষদ। এর আয়তন ৬.০৩৪ বর্গ কিলোমিটার, জনসংখ্যা-২৮ হাজার ৪ শত ৩০ জন।
১৬ ফেব্র“য়ারী মঙ্গলবার দুপুর ১টা ৩৭ মিনিটে পরিষদ কার্যালয়ে ঢুকে দেখা গেল ইউনিয়ন সচিবের রুমে সচিব-হামিদুর রহমানসহ ২নং ওয়ার্ড ইউ,পি সদস্য আশরাফ আলী,৮নং ওয়ার্ড সদস্য রশিদুল ইসলাম ও মহিলা সদস্য বুলবুলি বেগম আলাপ চারিতায় ব্যাস্ত।
সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে বসার পর সচিবের কাছে ইউনিয়নবাসীর সেবা বিষয়ে জানতে চাইলে প্রথমেই তিনি জানান,আমাদের ইউনিয়ন পরিষদে উপজেলা পরিষদের কোন দপ্তর নেই এবং এখানে এর কোন কার্যক্রম নেই। এ সময় ৩নং ওয়ার্ডের মৌজা পাঙ্গা গ্রামের মঙ্গুলু বর্মন এবং  ১ নং ওয়ার্ডের ধৌলু মামুদ তার ৪ বছর বয়সী সন্তান গোলাম মোস্তফাকে স্কুলে ভর্তি করার জন্য  জন্ম সনদ নিতে আসে। সচিব জানান, গত দুই মাস থেকে সার্ভার বন্ধ রয়েছে তাই জন্ম নিবন্ধন বা জন্ম সনদ কোনটাই দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। কবে নাগাদ দেয়া যাবে তাও সঠিকভাবে বলা যাচেছ না। তবে শীঘ্রই পাওয়া যাবে। তার কথায় আগতরা হতাশ হয়ে ফিরে যায়। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন-এ্যকটিভিটিং ভিলেজ কোর্টের কার্যক্রম নেই এই ইউনিয়নে। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে এর কার্যক্রম রয়েছে। এখানে না থাকায় সাধারন মানুষ সঠিক বিচার ব্যবস্থার সুফল পাচ্ছে না।
ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রের রুমটি তালাবদ্ধ। অপারেটর হাবিবুর রহমান আসেনি তাই তথ্যসেবা কার্যক্রম বন্ধ। এ সময় এলাকার তিন যুবক আসে সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য অনলাইন রেজিষ্ট্রেশন করার জন্য। সচিব তাদের জেলা জনশক্তি ব্যুরোর কার্যালয়ে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। তিনি আরো জানান, তথ্য সেবা কেন্দ্রে ৬০ ধরনের সেবা পাওয়ার কথা থাকলেও এখানে শুধুমাত্র ফটোকপি,ছবি এবং পরীার ফলাফল দেখা ছাড়া অন্য কিছু হয় না। ফলে ইউনিয়নবাসী সকল প্রকার সেবা থেকে বঞ্চিত থাকছে। জনগনের দ্বোড় গড়ায় সেবা পৌছে দেয়ার সরকারী কর্মসূচী ভেস্তে যেতে বসেছে। এ সময় ২নং ওয়ার্ড সদস্য আশরাফ আলী জানান এই ইউনিয়নে তিনটি কমিউনিটি কিনিক রয়েছে কিন্তু কিনিক গুলোতে দায়িত্ব প্রাপ্তদের দেরিতে অফিসে আসা ও গাফিলতির কারনে সাধারন মানুষ নুন্যতম স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত থাকছে। তিনি পদাধিকার বলে একটি কিনিকের সভাপতি। এ ইউনিয়নে বয়স্ক ভাতাভোগীর সংখ্যা-৪ শত ৮৪ জন,বিধবা ভাতাভোগীর সংখ্যা-২ শত ৬১ জন এবং প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীর সংখ্যা-৪৭ জন। তিনি বলেন-বয়স্ক ও বিধবা ভাতা প্রদানে অনিয়ম এবং অর্থের বিনময়ে কার্ড প্রদানের অভিযোগ রয়েছে তবে তা প্রমান করা কঠিন। সেখান থেকে ফোন দেয়া হয় ইউ,পি চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম ভূট্টোকে তিনি জানান বিশেষ কাজে মিরগঞ্জ হাটে গেছেন।তিনিও অফিসে আসেন অনিয়মিত। সচিব জানান,চেয়ারম্যান মানুষ বিভিন্ন কর্মকান্ডে ব্যাস্ত থাকেন ফলে নিয়মিত অফিসে আসতে পারেন না। সপ্তাহে একদিন বৃহস্পতিবার বসে বিচার শালিশের কার্যক্রম। ওই দিন  তাকে পাওয়া যাবে। এরপর চেয়ারম্যান সাহেবের সাথে বার বার যোগাযোগ করে তার সাাৎ পাওয়া যায়নী।

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item