-ঢাল নেই,তলোয়ার নেই নিধিরাম সরদার। ডোমারে ফ্রি ষ্টাইলে চলছে ফ্রেন্ডস হস্পিটাল এন্ড ডায়গনেষ্টিক সেন্টার।

আনিছুর রহমান মানিক ডোমার(নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ- নীলফামারীর ডোমারে ঢাল নেই তলোয়ার নেই, নিধিরাম সরদারের মতোই  ফ্রি ষ্টাইলে চলছে ফ্রেন্ডস হস্পিটাল এন্ড ডায়াগনেষ্টিক সেন্টার।  একটি প্রাইভেট ক্লিনিক করার নুন্যতম যোগ্যতা  অনুসরণ না করে  দীর্ঘদিন  ক্লিনিকটির ব্যাবসা চালু থাকায়  প্রশ্ন উঠেছে তদারককারী প্রতিষ্ঠান গুলোর দ্বায়িত্ব ও কর্তব্য নিয়ে।
সরেজমিনে দেখা যায়,ডোমার উপজেলার প্রান কেন্দ্র পৌরসভা থেকে ঢিল ছোড়া দুরত্বে অবস্থিত ফ্রেন্ডস হস্পিটাল এন্ড ডায়াগনেষ্টিক সেন্টার ।
প্রাইভেট ক্লিনিক স্থাপনের জন্য অবকাঠামোগত যে সকল বিধি বাধ্যগত ভাবে অনুসরনীয় তা হলো প্রতিটি ক্লিনিক অবশ্যই আবাসিক এলাকার বাইরে হতে হবে। কিন্ত ডোমার ফ্রেন্ডস হস্পিটাল এন্ড ডায়াগনেষ্টিক সেন্টার  শুধু আবাসিক এলাকাতেই স্থাপিত হয়নি তার ড্রেনেজ ও বর্জ্য ব্যাবস্থাপনা না থাকায় তা রিতিমতো জন ভোগান্তির কারণ হয়ে দ্বারিয়েছে।  ক্লিনিকটি সম্পর্কে সরেজমিনে খোঁজ নিতে এসে নীলফামারী সিভিল সার্জন মোস্তাকুর রহমানের চক্ষু ও চরকগাছ। ভিতরে এমন অ-ব্যবস্থাপনায় তিনিও বিশ্ময়! প্রকাশ করেন। প্রশিক্ষিত,ডাক্তার,নার্স,ওয়ার্ডবয়,ল্যাব ও প্যাথলজি টেকনিশিয়ান,মেশিন অপরেটর নেই। জীবনরক্ষাকারী অক্সিজেন সিলিন্ডারে, নেই অক্সিজেন শেষ হবার সংকেত দানকারী যন্ত্র। অপরিচ্ছন্ন অপারেশন থিয়েটার,আলো বাতাসহীন অপ্রসস্থ্য কক্ষ,বিছানা। তিনি এসকল অ-ব্যাবস্থাপনা দেখে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে ভৎসনা করলে কর্তৃপক্ষ তরিৎ সমাধানের প্রতিশ্র“তি দিয়েই দ্বায় সারেন। সবচেয়ে আৎকে উঠার বিষয় ক্লিনিকটির প্যাথলজি টেকনিসিয়ান বিভাগের দ্বায়িত্বেরত সাজু মিয়ার  নেই কোন প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি। পরিদর্শনে আসা সিভিল সার্জনের রক্ত পরীক্ষার ক্ষেত্রে নুন্যতম প্রশ্নের উত্তর ও দিতে পারলেন না সে। শুধু তাই নয়, প্যাথলজি টেবিলের পাশেই পাওয়া গেল ডাক্তার কর্তৃক পূর্বেই সইকরা টেষ্ট রিপোর্টের প্যাড।স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টদের মতে একটি ক্লিনিকের জন্য নুন্যতম যা যা দরকার তা হলো, প্রতিষ্ঠানের শয্যা সংখ্যা অনুসারে প্রকার,বর্গফুট অনুসারে প্রতিষ্ঠানের পরিমান,অভ্যান্তরিন,বহির বিভাগ ও ভৌত সুবিধাদি-জরুরী বিভাগ,ওটি,ওয়াসরুম,লেবার রুম,যন্ত্রপাতি কক্ষ,অফিস কক্ষ,প্রসস্থ সিড়ি,অপেক্ষা কক্ষ,অভ্যার্থনা কক্ষ,নার্সদের কক্ষ,শীততাপ নিয়ন্ত্রিত অস্ত্রোপচার কক্ষ,ওটিটেবিল,সাকার মেশিন,জরুরী ঔষধ,অক্সিজেন,ওটিলাইট,অ্যনেসথেসিয়া মেশিন,জেনারেটর,রানিং ওয়াটার,আইপিএস,ডায়াথার্মি মেশিন,সার্বক্ষনিক ডাক্তার নার্সসহ তাদের যোগ্যতার সনদ ,বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এম্বুলেন্স থাকা অবশ্যক।ফ্রেন্ডস হস্পিটাল এন্ড ডায়াগনেষ্টিক  সেন্টারে এর অধিকাংশই অনুপস্থিত কিছু থাকলেও তা লক্কর ঝক্কর মার্কা। রোগীদের সু-চিকিৎসার করা চটকদার সাইনবোর্ড সামনে টাংগানো থাকলেও ভিতরে বেহালদশা আমাদের চিকিৎসা ক্ষেত্রে তদারকীর দৈনদশা প্রকাশ করে।   
এনিয়ে এলাকার ভূক্তভোগীরা পরিচালক হাসপাতাল ও ক্লিনিক সমূহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাখালী ঢাকা বরাবরে  গণদরখাস্ত করলে ক্লিনিকটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক কিনা তা ক্ষতিয়ে দেখে তদন্ত পূর্বক মতামত সহ প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিলে ও তৎকালিন সিভিল সার্জন তদন্ত করে ও অদ্যবদী প্রতিবেদন দাখিল করেন নি। পরে এলাকার ভূক্তভোগী আব্দুল কাদের ডোমার পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বরাবরে পূনঃ অভিযোগ করলে তিনি বিষয়টি নীলফামারী সিভিল সার্জনের নজরে আনলে ক্লিনিকটির অ-ব্যবস্থাপনার চিত্র জন সম্মুক্ষে বেড়িয়ে আসে।এবিষয়ে,উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, উর্দ্ধতন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে তদন্ত চলছে । অনিয়মের মাত্রা অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেয়া হবে। ক্লিনিকের পরিচালক শ্যামল রায় বলেন,অসমাপ্ত কাজ গুলো দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করছি এবং প্যাথলজি টেকনিশিয়ান নতুন নিয়োগ দিব।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 8916153168891070112

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item