সুনীতির বিদ্যালয়ে র্দূনীতি ,হুমকির মুখে ৭‘শত কোমলমতি শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন

প্রভাষক,আবু ফাত্তাহ্ কামাল (পাখি), ডোমার(নীলফামারী )প্রতিনিধি ঃনীলফামারীর ডোমারে শহীদ স্মৃতি মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধানশিক্ষকসহ  অন্যান্য শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে । হুমকির মুখে ৭‘শত কোমলমতি শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন ।
জানা গেছে,মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য মাননীয় প্রাথমিক  ও গনশিক্ষা মন্ত্রী মহোদয়  গত পহেলা জানুয়ারীতে  শিক্ষার্থীদের হাতে  নতুন বই  তুলে দিয়েছেন।অথচ নীলফামারীর ডোমার উপজেলা সদরে শহীদ স্মৃতি মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে   জানুয়ারী মাস শেষ হতে চললেও শীক্ষার্থীদের কাস পাঠদানশুরু করা তো দুরের কথা কাস রুটিন  পযর্ন্ত প্রনয়ন করা হয়নি ।এমনাবস্থায় শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিদ্যালয়ের তুলনায় প্রায় এক মাস
পিছিয়ে  পড়ছে ।এতে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার ফল নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছেন ।অপরদিকে যখন কাস রুটিন নেই,পাঠদান নেই তখন “অতি দরিদ্রদের জন্য স্কুল ফিডিং প্রোগাম চলা নিয়ে সচেতন অভিভাবকদের মধ্যে প্রশ্ন  উঠছে ।সাংবাদিকরা এ বিষয়ে তৎপরতা  করলে রাতারাতি স্কুল ফিডিং প্রোগাম রেজিষ্টার আপ-টু-ডেট করা হয় । প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভতির্তে কোন টাকা নেওয়ার  নিয়ম না থাকলেও অধিকাংশ অভিভাবকের নিকট থেকে ২/৩ শ’ টাকা নেওয়া হচ্ছে ।ভর্তিতে টাকা নেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে বিচারের দাবীতে এলাকায় “ শহীদ স্মৃতি মডেলে টাকা নিয়ে ভর্তি কেন ? শিক্ষা অফিসার জবাই চাই ”সহ বিভিন্ন স্লোগানে পোষ্টারিং হয়েছে ।এ ছাড়াও সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত গাইডের প্রচারনা,এবং বিভিন্ন বিদ্যালয়ে উক্ত প্রকাশনীর উৎকোচ বিতরন,বিভিন্ন প্রকাশনীর অর্থ আর্ত্মসাৎ এর অভিযোগ রয়েছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের শিয়ালডাংগির অভিভাবক হরি রায় জানান,আমার দুই শিক্ষার্থী তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনীতে ভর্তির জন্য গেলে ছয় শত টাকা দাবী করেন শিক্ষিকা মনিরা বেগম।ইনারা অনেক অভিভাবকদের নিকট থেকে টাকা নিয়েছে ।
স্কুলে পরিদর্শনের সময় এ প্রতিবেদককে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাজ্জাদুর জামান জানান,এখনো রুটিন হয়নি,পুরাতন রুটিন নিয়ে কাস চলছে ।শিক্ষকদের মধ্যে জটিলতা আছে । রাতারাতি স্কুল ফিডিং প্রোগাম রেজিষ্টার আপ-টু-ডেট করা প্রসঙ্গে সত্যতা স্বীকার করে সাংবাদিকদের সামনে থেকে সরে পড়েন ।
সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান,চয়নই (সভাপতি আসাদুজ্জামান চয়ন )ঐ শিক্ষিককে ভর্তির দায়িত্ব দিতে বলেছে ।টাকা আদায়ে তার উপস্থাপন ঠিক হয়নি ।অনেক ক্ষেত্রে আমাদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে ।ভর্তির জন্য নয় উন্নয়নের জন্য টাকা নেওয়া হচ্ছে।আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে প্রাক প্রাথমিক কাস শুরু হয়েছে ।
উল্লেখ্য,এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের অভিযোগ প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম কে ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারীর প্রথম সপ্তাহে  অদক্ষতার অভিযোগে  শাস্তিমুলক অন্যত্র বদলি করা হয় ।নিকট আত্মীয় উচ্চপর্যায়ে থাকার সুযোগে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বদলী হয়ে আসেন প্রধানশিক্ষক এনামুল হক চৌধুরী ।এর কিছুদিন পর বিদ্যালয়ের সভাপতি হয়ে আসেন জাপা নেতা আসাদুজ্জামান চয়ন ।শুরু হয় অনিয়ম ও অনৈতিক কার্যকলাপের মহা উৎসব ।
গত বছরের ১৭ ই এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় স্কুল চলাকালিন শ্রেনী কক্ষে অনৈতিক  ও অসামাজিক কর্মকান্ডে লিপ্ত অবস্থায় জাপা পৌর সভাপতি ও সংশ্লিষ্ট বিদ্যায়ের সভাপতি আসাদুজ্জামান চয়ন ও সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শিলা রানী দাস এলাকাবাসীর কাছে হাতে নাতে ধরা পড়ে ।অনৈতিক কাজে সহযোগিতা করার অভিযোগে প্রধানশিক্ষকসহ  পুরুষ শিক্ষকদেরকে গনধোলাই করে এলাকাবাসী । চার ঘন্টা অবরোধের পর পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এরই পরিপেক্ষিতে ২৩ শে এপ্রিল সভাপতি আসাদুজ্জামান চয়নকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমিটি সাময়িক বরখাস্ত , প্রধানশিক্ষক এনামুল হক চৌধুরী ,ও শিক্ষিকা শিলা রানী দাস,শিক্ষক শরিফুল ইসলাম কে অন্যত্র বদলি করে ।পরবর্তীতে সভাপতি আসাদুজ্জামান চয়ন মামলায় জয় লাভ করে সভাপতি হিসাবে পুনরায় বহাল হন ।জোর লবিং করে পুনরায় গত বছর জুন মাসে ফিরে আসেন বর্তমান প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম ।
 এলাকার একাধিক অভিভাবক জানায়,তাদের অভিযোগ সভাপতি, প্রধানশিক্ষক, শিক্ষিকদের মামলা,জিডি ,মানববন্ধন,স্কুলে তালা এমন দ্বন্দে বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। হুমকির মুখে ৭‘শত কোমলমতি শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন ।বর্তমান কমিটি বাতিল,সকল শিক্ষকদের অন্যত্র বদলি করে উপজেলার মডেল ওই বিদ্যালয়টির মান টিকিয়ে রাখতে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেন তাঁরা।
উল্লেখ্য যে, এলাকাবাসীর  অভিযোগ রয়েছে চয়ন সন্তাসী বাহিনী দ্বারা এলাকায় সকল ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড,চাদাঁবাজি, মাদকপাচার,চোরাকারবারী,বিদেশে লোক পাঠানোর নামে প্রতারনাসহ নানাবিদ  অর্পকর্মের সাথে জড়িত ।তার বাহিনী দ্বারা ইদানিং খুনের ঘটনাও  ঘটছে ।সরকার পরিবর্তনের সাথে দল বদল করে নানা অপকর্ম করছে ।সাধারন মানুষ কে মামলায় জড়িয়ে  টাকা কামানো তার আয়ের প্রধান উৎস ।তার অপকর্মের কেউ প্রতিবাদ করলে তার উপর নেমে আসে চরম নির্যাতন ।তার অত্যাচার সহ্য করা নিয়মে পরিনত হয়েছে ।দুনীতিবাজ কিছু  প্রশাসনের কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে অবলিলায় সে অপকর্ম করে যাচ্ছে ।প্রশাসনে তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করে কোন ফল হয় না।তার বিরুদ্ধে প্রায় ডর্জনখানেক মামলা রয়েছে ।কিন্তু আইনের ফাকফোকর দিয়ে বেরিয়ে এসে আবার দ্বিগুন উৎসাহে চলে সন্ত্রাসী কার্যক্রম ।দিন দিন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠচে চয়নবাহিনীর তান্ডব ।এ বিষয়ে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রপত্রিকায় একাধীকবার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে এবং হচ্ছে ।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 5573223030745671863

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item