ঘুমন্ত অবস্থায় স্কুল শিক্ষককে জবাই করে হত্যা
https://www.obolokon24.com/2015/01/-post91.html
রিয়াদ
মাহমুদ বগুড়া প্রতিনিধি- বগুড়ার ধুনটে ঘুমন্ত অবস্থায় শহিদুল ইসলাম (৩৪) নামের এক স্কুল শিক্ষককে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। গত রোববার দিবাগত রাত ২টায় চৌকিবাড়ী ইউনিয়নের রুদ্রবাড়ীয়া গ্রামে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানাযায়, গত ১লা ডিসেম্বর উপজেলার চৌকিবাড়ী ইউনিয়নের রুদ্রবাড়ী গ্রামের আজমল হোসেনের ছেলে পিরহাটী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলামের সাথে ধুনট সদর ইউনিয়নের চালাপাড়া গ্রামের শাহজাহান তালুকদারের মেয়ে বগা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সীমা আকতারের বিয়ে হয়।
কিন্তু বিয়ের আগেই সীমা আকতারের সাথে মথুরাপুর ইউনিয়নের গোপালপুর খাদুলী গ্রামের এক যুবকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের পরও তাদের সম্পর্ক আরো গভীর হতে থাকে।
এক পর্যায়ে প্রেমিক যুবক সীমা আকতারের স্বামী শহিদুল ইসলামকে তার স্ত্রীকে তালাক দিতে হুমকি দেয়। এবিষয়ে স্থানীয় মাতব্বরগণ বিচার শালিশও করেন। কিন্তু এতেও কোন সমাধান হয়নি।
গত রোববার (১৮ জানুয়ারী) রাতে প্রতিদিনের ন্যায় স্কুল শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী সীমা আকতার খাওয়া দাওয়া শেষে একই বিছানায় ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ২টায় হঠাৎ সীমা আকতার চিকিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে শহিদুল ইসলামের গলা কাটা লাশ দেখতে পায়।
সোমবার (১৯ জানুয়ারী) সকাল ৮টায় থানা পুলিশ শহিদুল ইসলামের মৃতদেহ উদ্ধার করে এবং তার স্ত্রী সীমা আকতারকে আটক করে। এছাড়া বিকেলে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মথুরাপুর ইউনিয়নের প্রতাব খাদুলী গ্রামের মৃত মোজাফফর রহমানের ছেলে শফিউর রহমান জ্যোতিকে আটক করে। পুলিশ হত্যাকান্ডের কাজে ব্যবহৃত একটি চাকু উদ্ধার করেছে।
নিহতের ভাই সাজেদুল ইসলাম জানান, সীমা আকতারের সাথে এক যুবকের প্রেমের সর্ম্পক ছিল। সেই সূত্রধরে কয়েকদিন আগে আমার ভাইয়ের স্ত্রীকে তালাক দিতে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এঘটনার সাথে সীমা ও তার প্রেমিক জড়িত রয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
তবে এবিষয়ে সীমা আকতার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক অস্বীকার করে বলেন, আমরা দুজন এক সাথে রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়ি। হঠাৎ রাতে ঘুম থেকে উঠে আমার স্বামীর গলা কাটা লাশ দেখতে পাই। কে বা কারা আমার স্বামীকে হত্যা করেছে তা আমি জানি না।