আজ থেকে শুরু তাবলিগ জামাতের ৪৯তম বিশ্ব ইজতেমা।

রাজধানীর উপকন্ঠে শিল্প নগরী টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে দুই দফায় বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে আগামী ১১ জানুয়ারি আখেরী মুনাজাত অনুষ্ঠিত হবে
দিন বিরতির পর আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে এবং ১৮ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্বের আখেরী মুনাজাত অনুষ্ঠিত হবে বলে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজক কমিটির সদস্য আবদুল কুদ্দুস জানিয়েছেন
মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত এই বিশ্ব ইজতেমায় প্রতিবছর দেশ-বিদেশের লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লী অংশগ্রহণ করে থাকে প্রায় দুই বর্গকিলোমিটার এলাকায় বিশাল ময়দানে চটের তাবু বাঁশ দিয়ে প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে
মুসল্লীদের স্থান সংকুলান না হওয়ায় গত তিন বছর যাবৎ দুদফায় বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কয়েক হাজার প্রতিনিধি যোগদান করে থাকেন
বিশ্ব ইজতেমা আয়োজক কমিটি স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে বিদেশীদের জন্য আলাদা টিন শেড দিয়ে বিশেষ প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে বিশ্ব ইজতেমা ২০১৫ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক শুভেচ্ছা বাণী দিয়েছেন ইজতেমার বিশাল সমাবেশে আগত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসল্লিদের স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেন, বাংলাদেশ প্রতিবছর সফলভাবে এই বিশ্ব ইজতেমা আয়োজন করতে সক্ষম হচ্ছে জন্য রাষ্ট্রপতি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে লাখো শুকরিয়া জানান

রাষ্ট্রপতি বলেন, ইসলামের সুমহান আদর্শ সমগ্র মানবজাতির চলার পথের পাথেয় আমরা ইসলামের আদর্শ অনুসরণের মাধ্যমে সামগ্রিক কল্যাণ অর্জন করতে পারি বিশ্ব ইজতেমা ইসলামি উম্মাহর ঐক্য, সংহতি ভ্রাতৃত্ববোধ সুদৃঢ়করণে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে রাষ্ট্রপতির বিশ্বাস বাণীতে বিশ্ব ইজতেমা ২০১৫-এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন তিনি

পৃথক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ব মুসলিমের অন্যতম বৃহৎ সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে আমি দেশবাসী এবং বিশ্বের সকল মুসলমানকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা মোবারকবাদ

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজধানী ঢাকার উপকণ্ঠে টঙ্গীর তুরাগতীরে এই বিশ্ব ইজতেমা ইসলামের মর্মবাণী প্রচার প্রসারের ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে



বাংলাদেশে ১৯৬৭সাল থেকে প্রতি বছর টঙ্গির তুরাগ নদীর তীরে তাবলিগ জামাতের সবচেয়ে বড় সম্মেলন বিশ্ব ইজতেমাঅনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এটা বাংলাদেশের জন্য পরম সৌভাগ্য গর্বের বিষয় ইজতেমাআরবি শব্দ বাংলা অর্থ হচ্ছে, সমাবেশ বা সম্মেলন ধর্মীয় কোনো কাজে বহুসংখ্যক মানুষকে
একত্রিত করাকে ইসলামি পরিভাষায় ইজতেমাবলে এই দৃষ্টিকোণ থেকে পৃথিবীর বহুসংখ্যক দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা যেখানে সমবেত হন তাকে বিশ্ব ইজতেমাবলা হয় বিদায় হজের সময় হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমার কাছে যদি কোনো বাণী থাকে তা অন্যের কাছে পৌঁছে দাওএই শাশ্বত বাণীকে আঁকড়ে ধরে বিশ্বের অর্ধশতাধিক দেশ থেকে আগত হাজার হাজার তাবলিগ অনুসারী বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণ করে থাকেন এছাড়া বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রাম-শহর-বন্দর থেকে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান ইজতেমায় অংশ নেন বিশ্ব ইজতেমার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এর শৃঙখলা যার যার ডাইনে চলিমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে সবাই হাঁটেন জিকির করতে করতে ঝগড়া-বিবাদ তো দূরে থাক, কেউ একটু রেগে কথা বলেন এমন দৃশ্যও চোখে পড়ে না উপস্থিত মুসল্লিদের মানবতা, ভ্রাতৃত্ববোধ, শৃঙ্খলা, ধৈর্য ঐক্য দেখে অভিভূত না হয়ে পারা যায় না তারা একে অন্যের কষ্টকে ভাগাভাগি করে নেন কোনো ধাক্কা-ধাক্কি ছাড়াই একজন অপরজনকে পথচলার সুযোগ করে দেন কোনো শোরগোল নেই কারো বিছানার ওপর দিয়ে গেলেও কেউ কটু কথা বলেন না আওয়াজ না করি; খামোশ হয়ে যাই, জামাত তৈয়ারএই একটি ঘোষণা শুনেই সবাই নামাজের কাতার সোজা করে নেন এখানে ধনী-দরিদ্রের কোনো ভেদাভেদ নেই কত সুন্দর মুসলমানদের আমল, কত উত্তম তাদের আদর্শ শিক্ষা এসবের বাস্তব প্রতিফলন দেখা যায় ইজতেমার মাঠে

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item