মধুকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯১তম জন্মবার্ষিকী আজ।

মাইকেল মধুসূদন দত্ত যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে ১৮২৪ সালের এদিনে জন্মগ্রহণ করেন
 মাইকেল মধুসূদন দত্তের পিতার নাম রাজনারায়ণ দত্ত, মা জাহৃবী দেবী শৈশবে সাগরদাঁড়ির পাশে শেখপুরা গ্রামের মৌলভখন্দকার মখমল সাহেবের কাছে বাংলা ফার্সি শিক্ষা লাভ করেন
১৮৩৩ সালে সাগরদাঁড়ি ছেড়ে কলকাতার খিদিরপুর যান সেখানে লালবাজার গ্রামার স্কুলে ইংরেজি, ল্যাটিন হিব্রু ভাষা শিক্ষা নেন

কবি ১৮৩৭ সালে হিন্দু কলেজে ভর্তি হন ১৮৪২ সালে ইংরেজিতে প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে স্ত্রীশিক্ষাবিষয়ে প্রবন্ধ লিখে কলেজ থেকে স্বর্ণপদক লাভ করেন
১৮৪৩ সালের ফেব্রুয়ারি হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করেন কবি একইসাথে পিতৃগৃহ থেকে স্বেচ্ছা নির্বাসন নেন হিন্দু কলেজে পড়তে না পেরে বিশপস কলেজে ভর্তি হন গ্রিক সংস্কৃত ভাষায় জ্ঞানার্জন করেন তিনি ১৮৪৮ সালে সাগরদাঁড়িতে আসেন তারপর ভাগ্যান্বেষণে মাদ্রাজ চলে যান পথে বসন্ত রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন সুস্থ হয়ে সেখানে একটি আবাসিক স্কুলে ইংরেজি বিভাগে শিক্ষকতা শুরু করেন বিভিন্ন পত্রিকায় ছদ্মনামে কবিতা লিখতে থাকেন কয়েকটি পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন সম্পাদকীয় বিভাগেও কাজ করেন একই বছর বিয়ে করেন রেবেকা ম্যাকটাভিসকে
১৮৪৯ সালের এপ্রিলে ইংরেজি কাব্যগ্রন্থ দ্য কাপটিভ লেডিপ্রকাশ হয়
১৮৫২ সালে মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের হাইস্কুল বিভাগে শিক্ষকতার চাকরি নেন ১৮৫৪ সালে দৈনিক স্পেকটেটর পত্রিকায় সহ-সম্পাদক পদে নিযুক্ত হন ওই বছরই বের হয় পুস্তিকা দ্য এ্যাংলো সেক্সন এ্যান্ড দ্য হিন্দুু
১৮৫৭ সালে আদালতে দোভাষী হিসেবে কাজ শুরু করেন
১৮৫৮ সালে শর্মিষ্ঠা নাটকলিখে বাংলা ভাষায় সাহিত্যচর্চা শুরু করেন নাট্যান্দোলনে জড়িয়ে পড়েন
১৮৬০ সালে পদ্মাবতী নাটকপ্রকাশ হয় মে মাসে বাংলা ভাষায় প্রথম অমিত্রাক্ষর ছন্দে লেখা তিলোত্তমাসম্ভব কাব্যপ্রকাশ হয় এবছরই তিনি মহাকাব্য রচনায় মনোনিবেশ করেন
১৮৬১ সালে জানুয়ারিতে মেঘনাদবধ কাব্যপ্রথম খন্ড প্রকাশিত হয় ফেব্রুয়ারিতে প্রখ্যাত সাহিত্যিক কালিপ্রসন্ন সিংহের বাসভবনে অমিত্রাক্ষর ছন্দে মহাকাব্য রচনার জন্য বিদ্যোৎসাহিনী সভার পক্ষ থেকে সম্বর্ধনা এবং মহাকবি হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন পরবর্তীতে তিনি ইংল্যান্ডে গিয়ে ব্যারিস্টারিতে ভর্তি হন
১৮৬৩ সালে অর্থকষ্টে পড়েন অবস্থায় পরিবারসহ প্যারিসের ভার্সাই নগরীতে চলে যান ১৮৬৪ সালে জুন অর্থসাহায্য চেয়ে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে চিঠি লেখেন আগস্টে বিদ্যাসাগরের পাঠানো টাকা পেয়ে সাময়িকভাবে অভাব মোচন হলে তিনি সনেট রচনায় মনোনিবেশ করেন ইংল্যান্ডে ফিরে গিয়ে আবার ব্যারিস্টারি পড়া শুরু করেন
১৮৬৬ সালের আগস্টে চতুর্দ্দশপদী কবিতাবলীপুস্তক আকারে কলকাতা থেকে বের হয় নভেম্বরে ব্যারিস্টারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ১৮৬৭ সালে পুত্র-কন্যাকে ফ্রান্সে রেখে কলকাতা চলে আসেন সেখানে হাইকোর্টে ব্যারিস্টারি ব্যবসা শুরু করার জন্য আবেদন করেন
১৮৭৩ সালের ২৯ জুন বেলা ২টায় মারা যান মহাকবি মধুসূদন দত্ত

পুরোনো সংবাদ

শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি 7261985413347528911

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item