বড়দের গন্ডগোলে আট মেধাবী শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত
https://www.obolokon24.com/2015/01/-post24.html
ছবি ঃ ডোমার ঃ ডোমারে উপজেলা মাধ্যামিক অফিস চত্তরে এস,এস,সি সার্টিফিকেটের জন্য ঘুরছে মেধাবী শিক্ষার্থীরা । |
গত বৃহস্পতিবার কথাগুলো বলছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক কার্যালয়সহ বিভিন্ন অফিসে ধরনা দেওয়ার সময়ে আট মেধাবী শিক্ষার্থী।সার্টিফিকেট না পাওয়ায় আট শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের বাকডোকরা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের আট মেধাবী শিক্ষার্থী ২০১২ সালে এস,এস,সি সার্টিফিকেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বিভিন্ন কলেজে এইচ,এস,সিতে ভর্তি হয় ।সেখানেও সাফল্যের সাথে এইচ,এস,সি পাশ করে ।এবার কেউ নীলফামারী সরকারী কলেজে,কেউ রংপুর কারমাইকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় বিভিন্ন বিষয়ে অনার্স ভর্তি পরীক্ষায় মেধাতালিকায় টিকে যায় ।কৃর্তপক্ষ এস,এস,সির মুল সার্টিফিকেট দেখতে চায় ।স্কুলে মুল সার্টিফিকেট আনতে গিয়ে পড়ে বিপাকে ।২০১২ সাল থেকে প্রধানশিক্ষক - কমিটি দ্বন্ধ চলছিল ।এমনাবস্থায় কমিটি নিদিষ্ট দিনে মধ্যে ভোটার তালিকা প্রনয়ন না করা,ম্যানেজিং কমিটিকে তোয়াক্কা না করা ,কমিটির সাথে অসদাচারণ,লেনদেনে রশিদ বই ব্যবহার না করা,শিক্ষকদের স্কেল পরিবর্তনে ঘুষ গ্রহনের অভিযোগে বরির পাটা করে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় গত বছরে ২১ জুলাই প্রধানশিক্ষক জগদীশ চন্দ্র বর্ম্মনকে।দায়িত্ব নেন সহকারী প্রধান শিক্ষক খাদেমুজ্জামান ।বর্তমানে কোন বৈধ কমিটি নাই উভয়ের কাছে ।প্রায় চার মাস থেকে বেতনও তুলতে পারছেনা শিক্ষক কর্মচারীরা ।
শিক্ষার্থীরা হল ১/প্রসাদ রায়, ২/মনোরঞ্জন রায়,৩/সোনাবুল ইসলাম,৪/বৃন্দাবন রায়, ৫/পরেশ রায়, ৬/প্রবীন রায়,৭/ মালতী রানী ৮/ফনিভুষন রায়।এদের কেউ রংপুর কারমাইকেল কলেজে,কেউ নীলফামারী সরকারী কলেজে ,কেউবা ঢাকায় বিভিন্ন স্থানে মেধা তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ।এদের কারও এ মাসের ২৫,কারও ২৬ তারিখে ভর্তির শেষ সময় ।
এ ব্যাপারে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক মোঃখাদেমুজ্জামান বলেন,প্রধানশিক্ষক (বর্তমানে সাময়িক বরখাস্ত)আমাকে কোন কাগজপত্র বুঝে দেয় নাই ।লিখিতভাবে উর্ধ্বতন কৃর্তপক্ষ জানাইছেন কিনা প্রশ্ন করলে বলেন, মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে ।
এ ব্যাপারে প্রধানশিক্ষক (সাময়িক বরখাস্ত) জগদীশ চন্দ্র বর্ম্মন জানান,আমাকে অন্যায় ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে । লিখিতভাবে আমাকে জানালে আমি স্কুলে গিয়ে সার্টিফিকেট দিব ।তবে কর্তৃপক্ষের কথা শুনে গিয়ে আমি ওখানে একবার লাঞ্চিত হয়েছি ।
এ ব্যাপারে উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোহাম্মদ শফিউর রহমান জানান,কমিটি গঠন নিয়ে কোর্টে মামলা রয়েছে ।এটা আমার আওতাধীন বিষয় নয় ।তবে বাচ্চাদের জীবনের কথা চিন্তা করে সামাজিক ভাবে সমাধানের চেষ্টা করছি ।