ঢাকার বুকে বিরল সাপ
https://www.obolokon24.com/2015/01/-post21_86.html
ডেস্ক
রিপোর্ট- সাপটি সম্পর্কে প্রথম বলেন ড. মনিরুল হাসান। ২০০৮ সালে তিনি বলেন যে সাপটি বাংলাদেশে থাকতে পারে। এরপর ২০১১ সালে একটি ভারতীয় জার্নালে প্রথম সাপটির একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশের কেবল বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী জেলার চর কাজলে সাপটির দেখা পাওয়া যায়।
বাংলাদেশের আর কোথাও সাপটি থাকতে পারে-এমন তথ্য কোথাও উল্লেখ নেই। কিন্তু ২০১৫ সালে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে এই বিরল প্রজাতির সাপের একটি মৃত দেহ উদ্ধার করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্যপ্রাণী ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ।
সাপটির গ্রহণযোগ্য কোনো বাংলা নাম কোথাও উল্লেখ নেই। তবে অনেকে সাপটিকে পাইন্যা সাপ বললেও আসলে এ সাপটি পানি সাপের মতো নয় বলে জানান উদ্ধারকারী ফয়সাল আহমেদ।
সাপটির ইংরেজি নাম ডার্ক বেলিড মার্শ স্নেক। আর বৈজ্ঞানিক নাম Xenochrophis
cerasogaster. বিশ্ববিদ্যালয়ের নেচার স্টাডি ও কনজারভেশন ক্লাবের নিয়মিত ট্যুরের অংশ হিসেবে এদিন তারা কেরানীগঞ্জ গিয়েছিলেন।
এ সময় একটি কচুরিপানাপূর্ণ জলাশয় থেকে সাপটি উদ্ধার করা হয়। সাপটিকে বিষাক্ত ভেবে স্থানীয়রা পিটিয়ে মেরে ফেলে। এরপর তাদের কাছ থেকে মৃত সাপটি উদ্ধার করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নেচার হিস্টরি মিউজিয়ামে সংরক্ষণ করে রেখেছেন তিনি। এটি একটি স্ত্রী সাপ।
দৈর্ঘ্য সাড়ে ২৭ ইঞ্চি। স্থানীয়রা সাপটিকে বিষাক্ত ভেবে মেরে ফেললেও এটি মোটেও বিষাক্ত নয় এবং মানুষকেও কামড়ায় না। সাপটি সম্পর্কে ফয়সাল আহমেদ জানান, এটি বাংলাদেশের অত্যন্ত বিরল প্রজাতির একটি সাপ।
ঢাকার মতো ঘনবসতিপূর্ণ স্থানে এ সাপটির দেখা পাওয়া আমার কাছে রীতিমতো বিস্ময়কর। ফয়সাল আহমেদ পড়াশোনার পাশাপাশি বর্তমানে সাপ, প্রাণী, পাখি ও প্রকৃতি নিয়ে বিভিন্ন গবেষণায় যুক্ত রয়েছেন।