অভিনেতা খলিলের জীবনাবসান
https://www.obolokon24.com/2014/12/blog-post_60.html
গত কয়েক বছর ধরেই ফুসফুস, লিভার ও কিডনির জটিলতায় ভুগছিলেন অভিনেতা খলিল। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় কয়েকবার হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয় তাকে।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতলে গুণী এই শিল্পী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
খলিলের মৃত্যুর খবরে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নেমে আসে শোকের ছায়া। অভিনয় জগতের অনেকেই স্কয়ার হাসপাতালে ছুটে যান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস উইং থেকে ফেইসবুক পেইজে তাৎক্ষণিকভাবে শোক জানানো হয়।
১৯৩৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সিলেটের কুমারপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন খলিলউল্লাহ খান। এমসি কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে ১৯৫১ সালে যোগ দেন আনসারে।
৫৪ বছর ধরে প্রায় আটশ’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন খলিল,
যার শুরুটা হয়েছিল টিভি নাটকের মধ্য দিয়ে। ১৯৫৯ সালে জহির রায়হান পরিচালিত ‘সোনার কাজল’এ অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তার সিনেমায় পদার্পণ।
তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্জিত্র ‘প্রীত না জানে রীত’,
‘সংগম’,
‘ভাওয়াল সন্ন্যাসী’, ‘ক্যায়সে
কঁহু’,
‘জংলি ফুল’, ‘আগুন’, ‘পাগলা রাজা’, ‘মিন্টু আমার নাম’, ‘ওয়াদা’ , ‘বিনি সুতার মালা’,
‘বউ কথা কও’,
‘কাজল’।
১৯৬৬ সালে এস এম পারভেজ পরিচালিত ‘বেগানা’ সিনেমায় প্রথমবারের মতো খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। এরপর বহু সিনেমায় তাকে খলচরিত্রে দেখা গেছে। ইতিহাসনির্ভর ‘ফকির মজনু শাহ’ সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেও তিনি ভূয়সী প্রশংসা পান।
১৯৬৫ সালে ‘ভাওয়াল সন্ন্যাসী’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে খলিল আত্মপ্রকাশ করেন পরিচালক হিসেবে। ‘সিপাহী’ ও ‘এই ঘর এই সংসার’ নামে দুটি সিনেমার প্রযোজনাও করেছেন তিনি।
বহু টিভি নাটকে অভিনয়ের জন্যও দর্শক খলিলকে মনে রাখবে বহুদিন। শহীদুল্লাহ কায়সারের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ধারাবাহিক নাটক সংশপ্তকে তার অভিনয়ে ‘মিয়ার বেটা’ চরিত্র দর্শকনন্দিত হয়।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাবেক সভাপতি খলিলকে ২০১২ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়।