বিচার ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হবে ……. ড. আকবর আলি খান
https://www.obolokon24.com/2014/12/blog-post_22.html
ডেস্ক
রিপোর্ট- বিচার ব্যবস’া ক্রানিৱলগ্ন অতিক্রম করছে উলেস্নখ করে তত্ত্বাব-ধায়ক সরকারের প্রাক্তন উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান বলেছেন, ‘ব্রিটিশদের প্রবর্তন করা বিচার পদ্ধতির ব্যাপক পরিবর্তন করে বিচার ব্যবস’াকে সামগ্রিকভাবে ঢেলে সাজাতে হবে। গতকাল শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত বিচার বিভাগ পৃথক্করণের সাত বছর উপলৰে
এক মুক্ত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। আকবর আলি খান বলেন, ‘দেশের বিচার ব্যবস’ার ব্যাপক পরিবর্তন দরকার। এ লৰ্যে ফৌজদারি কার্যবিধি,
সাৰ্য আইন, দেওয়ানি কার্যবিধিসহ প্রয়োজনীয় আইন সংশোধন করতে হবে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও পৃথক্করণ নিশ্চিত করতে পুলিশ ব্যবস’ায় পরিবর্তন আনতে হবে বলে মনৱব্য করেন তিনি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রাক্তন এ উপদেষ্টা বলেন, ‘একটি মামলা নিষ্পত্তি করতে যদি ৫০ থেকে ১০০ বছর লেগে যায়, তাহলে এমন বিচার বিভাগ দিয়ে কী লাভ? ’ তিনি দ্রম্নত মামলা নিষ্পত্তির উপর গুরম্নত্বারোপ করেন। আকবর আলি খান বলেন,
‘বিচার বিভাগ বর্তমানে দুর্নীতিদের অভরায়ণ্যে পরিণত হচ্ছে। এ বিভাগের নেতৃত্বের জন্য সৃজনশীল লোক প্রয়োজন। আগে নিম্ন আদালতে জামিন না পেলে মানুষ উচ্চ আদালতে গিয়ে জামিন পেত। কিন’ বর্তমানে নিম্ন ও উচ্চ আদালতের মধ্যে কোনো তফাৎ নেই।’আলোচনা সভায় মানবাধিকার কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান বিচারপতি আমিরম্নল ইসলাম চৌধুরী বলেন,
‘বিচার বিভাগের কার্যক্রমের উপর নির্বাহী বিভাগের হসৱৰেপ এখনো চলছে।’ এ বিভাগের স্বাধীন-তার লৰ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানান তিনি। বাংলা-দেশ ব্যাংকের প্রাক্তন গভনর্র ড. সালেহ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘প্রশাসনের হাত যতদিন না সংকুচিত করা হবে, ততদিন পর্যনৱ বিচার বিভাগ স্বাধীন হবে না।’
বিচার বিভাগকে কাঠামোগতভাবে নির্বাহী বিভাগের প্রভাবমুক্ত করতে হবে বলেও মত দেন তিনি। সুপ্রিমকোটের্র প্রাক্তন রেজিস্ট্রার ইকতেদার আহ-মেদ বিচার বিভাগের পৃথক্করণকে কথিক পৃথক্করণ উলেস্নখ করে বলেন,
‘উচ্চ আদালতের বিচারপতি নিয়োগের ৰেত্রে কোনো নিয়ম মানা হচ্ছে না। অতীতে বিচারপতি নিয়োগের ৰেত্রে জ্যেষ্ঠতা মানা হতো, কিন’ বর্তমানে তা চরমভাবে লঙ্ঘন করা হচ্ছে। তিনি বলেন,
‘এই সরকারের আমলে বিরোধী মতা-দশের্র লোকদের রিমান্ড দেওয়া এবং জামিনের ৰেত্রে নির্বাহী বিভাগ প্রভাব বিসৱার করছে। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস’াপন করেন প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান। লিখিত বক্তব্য মিজানুর রহমান খান বলেন, ‘বিচার বিভাগ পৃথক্করণের সাত বছর পূর্ণ হলেও মাসদার হোসেন মামলায় পৃথকীকরণের সুপা-রিশগুলো আজও বাসৱবায়িত হয়নি। মিজানুর রহমান খান তার প্রবন্ধে বিচার বিভাগ পৃথক্করণে নয়টি সুপারিশ করেন। এর মধ্যে মাসদার হোসেন মামলার রায় সংশোধনে উদ্যোগী হওয়া,
সকল অবস’ায় কোনো বিচারকের বদলি বা কর্মস’ল পরিবর্তন করার প্রসৱাব সুপ্রিমকোটের্র তরফ থেকে হওয়া,
বিচার বিভাগের তদারকির জন্য সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে পৃথক সচিবালয় চালু,
মামলার জট নিরসনে উদ্যোগী হওয়া,
হাইকোর্টে বিচারক নিয়োগে জেলা জজদের সংখ্যা বৃদ্ধি করা ও মোবাইল কোর্ট আইনের তফসিল সংশোধন তথা আইন প্রণয়নের এখতিয়ার সচিবালয় থেকে সংসদে স’ানাসৱর করার বিষয়টি উলেস্নখযোগ্য। সুপ্রিম কোটের্র আইনজীবী ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম বলেন,
‘আইনের শাসন ও গণতান্ত্রিক চর্চা না থাকলে বিচারক-গণ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন না।’তবে বাসৱবিক অর্থে কখনো বিচার বিভাগ স্বাধীন হবে কিনা সে ব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। টিভি টকশোর আলোচক ও সাপ্তাহিক সম্পাদক গোলাম মোর্তুজার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বক্তব্য রাখেন।