ইরাকে আরো সেনা পাঠাচ্ছে আইএস-বিরোধী জোট
https://www.obolokon24.com/2014/12/blog-post_0.html
ডেস্ক রিপোর্ট- ইরাকে আইএস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আমেরিকা নেতৃত্বাধীন জোটের পক্ষ থেকে আরো দেড় হাজার সেনা পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। আমেরিকান সেনাবাহিনীর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেমস টেরি সোমবার এ তথ্য জানান। তিনি আরো জানান,
নতুন সেনা সদস্যরা আমেরিকার আগের প্রতিশ্রুত তিন হাজার ১০০ সেনার সঙ্গে যুক্ত হবে। এদিকে ইরাকে ধর্মান্তরিত হতে রাজি না হওয়ায় চার খ্রিস্টান শিশুসহ ধর্ম অবমাননার অভিযোগে এক সিরীয় নাগরিককে শিরশ্ছেদ করেছে আইএস জঙ্গিরা। সংবাদসূত্র : বিবিসি,
মিরর,
আল-জাজিরা
আমেরিকান সেনা কর্মকর্তা জেমস টেরি জানান, গত সপ্তাহে আইএস ইস্যু নিয়ে জোটভুক্ত দেশগুলোর বৈঠকে ইরাকে আরো সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আমেরিকা নেতৃত্বাধীন আইএসবিরোধী এই জোটে প্রায় ৬০টি দেশ অংশ নিলেও বিমান হামলায় বেশিরভাগেরই প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ নেই। পশ্চিমাদের দাবি, অতিরিক্ত এই সেনা ইরাকের সেনাবাহিনীর কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য সহায়ক হবে। টেরি বলেন, 'আইএসের বিরুদ্ধে সফল হতে হলে ইরাকি বাহিনীকে আরো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে, আমার মনে হয়, তাদের সক্ষমতা বাড়ছে।' উল্লেখ্য, গত ৩ থেকে ৮ ডিসেম্বর ইরাকে আইএস লক্ষ্যবস্তুতে ৩১ বার হামলা চালিয়েছে আমেরিকা নেতৃত্বাধীন বিদেশি জোট।
এদিকে, ব্রিটিশ এক পাদ্রির দাবি, ইরাকে চার খ্রিস্টান শিশু শিরশ্ছেদ করেছে আইএস জঙ্গিরা। তিনি অভিযোগ করেছেন, ইসলাম ধর্ম গ্রহণ না করায় তাদের এমন নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। বাগদাদের পুরোহিত ক্যানন হোয়াইট জানান, সম্প্রতি বাগদাদের নিকটবর্তী খ্রিস্টান অধ্যুষিত একটি ছিটমহলের দখল নেয় আইএস। সেখানেই এই হত্যাকা- চালানো হয়। তিনি বলেন, 'ইরাককে খ্রিস্টান-শূন্য করতে হত্যাযজ্ঞে নেমেছে জঙ্গিরা। তারা বিপুলসংখ্যক খ্রিস্টান হত্যা করেছে। হত্যার পর তারা শিশুদের শরীর দ্বিখ-িতও করেছে। তাদের মাথা কেটে ফেলেছে।' তিনি বলেছেন, ওই ছিটমহলের এক খ্রিস্টান ব্যক্তিকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বলে জঙ্গিরা। 'না' বলায় তারা তার শিশুদের হত্যার হুমকি দেয়। ফলে সন্তানদের জীবন বাঁচাতে ওই ব্যক্তি ধর্মান্তরিত হন। তবে পরে তিনি হোয়াইটকে ফোন করে বিস্তারিত জানালে তাকে অভয় দেন। ক্যানন বলেন, ওই ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করলেও তার চার ছেলেমেয়ে অস্বীকার করে। তারা যিশুর অনুসারী থাকতে চায় জানালে ওই চার শিশুকে গলাকেটে হত্যা করে। নিহত শিশুদের বয়স ১৫ বছরের নিচে।
অন্যদিকে, আঞ্চলিক শত্রু ও সশস্ত্র গোষ্ঠীদের বিরুদ্ধে সম্মিলিত সামরিক বাহিনী গঠনে উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধি এখন কাতারের রাজধানী দোহায়। মঙ্গলবার বিকালে অনুষ্ঠিত 'গাল্ফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের' (জিসিসি) এই সম্মেলনে বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ছয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী অংশ নিয়েছেন। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল-থানি। তারা সম্মিলিত আইন-প্রয়োগকারী ও গোয়েন্দা বাহিনী গঠনের বিষয়েও আলোচনা করবেন। সম্মেলনে প্রধান আলোচনার বিষয় থাকছে আইএস জঙ্গি ও ইরান।