তিস্তায় গরু পাচারকারী ধরতে নেমে বিজিবি জওয়ান নিখোঁজ
https://www.obolokon24.com/2017/06/lalmonirhat_27.html
লালমনিরহাট প্রতিনিধি
লালমনিরহাটের দহগ্রাম সীমান্তে তিস্তা নদীতে ভারতীয় গরু পাচার প্রতিরোধ করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়া। সোমবার দিবাগত রাত ২টার সময় এ ঘটনা ঘটে।
লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম মোর্শেদ এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়া রংপুর ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদস্য। কিন্তু তিনি ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের দহগ্রাম ক্যাম্পে সংযুক্ত আছেন।
জানা গেছে, গোপন সংবাদ পেয়ে সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে দহগ্রাম বিজিবি ক্যাম্প থেকে বিওপির চার জনের একটি টহল টিম মুন্সিপাড়া সীমান্ত এলাকায় তিস্তার ধারে যায়। ভারতীয় গরু পাচার হয়ে আসার সময় নদীতে সেগুলোসহ পাচারকারীদের ধরতে গিয়ে ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়া নিখোঁজ হন। তাকে খুঁজতে ভারতের বিএসএফ-এর সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। তারা স্পিডবোট দিয়ে তল্লাশিতে সহায়তা করছে। তিস্তা ব্যারেজেও রাখা হচ্ছে খোঁজখবর। উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন স্থানীয়রাও।
এদিকে মোগলহাট সীমান্ত থেকে ট্রাকে করে বিজিবির স্পিডবোট নিয়ে আসা হচ্ছে ঘটনাস্থলে। তবে মোগলহাট থেকে দহগ্রামের দূরত্ব ১০০ কিলোমিটারের বেশি হওয়ায় উদ্ধার তৎপরতা শুরু করতে সময় লাগছে।
টহল টিমের পেট্রোল কমান্ডার ছিলেন আনোয়ার হোসেন। তিনি ৬/৩ দহগ্রাম মূল সীমান্ত খুঁটি ৬এ’র ৩ নম্বর সাব খুঁটি এলাকার আবুলের চর নামক একটি জায়গা থেকে নিখোঁজ হন বলে বিজিবি নিশ্চিত করেছে।
বিজিবিতে সুমন মিয়ার বডি নম্বর ৭৬২৪১। তার গ্রামের বাড়ি সিলেটের হবিগঞ্জে।